বাজরা চাষে উপকারী এই কৃষক
ব্রেকিং বাংলা ন্যাশনাল ডেস্ক, ২৪ মে : রাজস্থান জুড়ে বাজরা চাষ হলেও আধুনিক পদ্ধতিতে চাষ করে সবাইকে চমকে দিয়েছেন ভরতপুরের এক কৃষক। তুরস্ক থেকে বিশেষ বীজ এনে বাজরা চাষ করেছেন এই কৃষক। তথ্য অনুযায়ী, এই কৃষকের নাম দীনেশ টেঙ্গুরিয়া। তিনি ভরতপুর জেলার পিপলা গ্রামের বাসিন্দা। এতে ফলন হয়েছে খুব ভাল। এখন অন্য কৃষকরাও তার কাছ থেকে বাজরা চাষের খুঁটিনাটি শিখছে। ওই যুবক বলছেন, এ জাতের বাজরা চাষে প্রচুর জল সাশ্রয় হয় এবং কম খরচে বেশি লাভ পাওয়া যায়।
তুরস্ক থেকে বাজরের বীজ এনে তার খামারে চাষ শুরু করেছেন। তিনি সাদা সোনা নামে এক জাতের বাজরা চাষ করেছেন। এই বাজরা তার দৈর্ঘ্যের জন্য পরিচিত। এই বাজরার কান্ড ৮থেকে ১০ ফুট লম্বা এবং এর চুল ৪ ফুট লম্বা। বিশেষ বিষয় হল রাজস্থানের জলবায়ু এই জাতের জাতের জন্য উপযুক্ত। এবার কৃষক দীনেশ টেঙ্গুরিয়ার জমিতে বাজরের বাম্পার ফলন হয়েছে। তার ক্ষেতে লাগানো বাজরা দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ আসছে।
কৃষক গোবিন্দ জানান, এখন অন্য কৃষকরাও এই বাজরা চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। অন্য লোক তার কাছ থেকে কৃষিকাজের খুঁটিনাটি শিখছে। কৃষক গোবিন্দ জানান, তিনি দুই একর জমিতে সাদা সোনা নামে বাজরা চাষ করেছেন। তিনি ৮০ মণ ফলন পেয়েছেন, যা বিক্রি করে লক্ষাধিক টাকা লাভ করেছেন। কৃষক দীনেশ টেঙ্গুরিয়া জানান, সাদা গোল্ড নামের বীজটি তুরস্ক থেকে আড়াই হাজার টাকা কেজিতে অর্ডার করা হয়েছে। চার একরে বীজ বপনের জন্য মোট ২০ কেজি সৈকত প্রয়োজন, যার জন্য তাকে ৫০,০০০ টাকা খরচ করতে হয়েছিল।
দেশি বাজরার ফলন প্রতি একরে ২০ মণ:
অসময়ের বৃষ্টিতে দুই একর জমির ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। এমতাবস্থায় দুই একর জমিতে ফেলে রাখা ফসলটি আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। ফসল কাটার পর, বাজরের মোট দৈর্ঘ্য ছিল ১২ থেকে ১৫ ফুট। এতে চুলের দৈর্ঘ্য ছিল চার থেকে পাঁচ ফুট এবং কাণ্ডের দৈর্ঘ্য ছিল ৮ থেকে ১০ ফুট। এমন সাধারণ দেশি বাজরের দৈর্ঘ্য ৬ থেকে ৮ ফুট, আর চুল এক ফুট লম্বা। বিশেষ বিষয় হলো তুর্কি বাজরার ফলন দেশি বাজরের চেয়ে দ্বিগুণ। দেশি বাজরার ফলন প্রতি একরে ২০ মণ, তুর্কি বাজরের ফলন প্রতি একর ৪০ মণ।
১০ লক্ষ টাকা আয় হয়েছে:
কৃষক গোবিন্দ জানান, অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্ণাটক, পশ্চিমবঙ্গ, উত্তরাখণ্ড, ছত্তিশগড়সহ সারা দেশের মানুষ তার কাছ থেকে বিদেশি বাজরার বীজ কিনছেন। তারা প্রতি কেজি বীজ বিক্রি করছে এক হাজার টাকায়। এ পর্যন্ত তিনি ১০ লক্ষ টাকার বেশি মূল্যের বীজ বিক্রি করেছেন।
No comments:
Post a Comment