কাসার দেবী মার মন্দির, জেনে নিন এখানকার ইতিহাস
মৃদুলা রায় চৌধুরী, ০৯ মে :দেবভূমি উত্তরাখণ্ড খুবই বিখ্যাত, কিন্তু এখানকার কাসার দেবীর মন্দির বিজ্ঞানী ও ইতিহাসবিদদের কাছে খুবই জনপ্রিয়। এই মন্দিরের এমন একটি রহস্য রয়েছে যে এটি সারা বিশ্বের মানুষকে আকর্ষণ করে। এই মন্দিরের বিশেষত্ব কী, চলুন জেনে নেই-
কাসার দেবী মন্দিরটি উত্তরাখণ্ডের আলমোড়া থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে কাসার গ্রামে অবস্থিত। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২,১১৬ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত, মন্দিরটি হাওয়াবাগ উপত্যকা এবং আলমোর শহরের একটি মনোরম দৃশ্য দেখা যায়। প্রতি বছর হাজার হাজার পর্যটক এখানে বেড়াতে আসেন। এতে কাসার দেবীর মূর্তি রয়েছে, যাকে মা দুর্গার রূপ বলে মনে করা হয়।
কাসার দেবী মন্দিরের ইতিহাস:
এই মন্দিরটি দ্বিতীয় শতাব্দীতে নির্মিত হয়েছিল। কথিত আছে মা কাত্যায়নী এখানে এসেছিলেন। এখানে একটি অবারিত শিখা রয়েছে যা বছরের পর বছর ধরে জ্বলছে। মন্দির চত্বরে একটি যজ্ঞ কুন্ডও রয়েছে যেখানে কাঠ অবিরাম জ্বলতে থাকে। ইতিহাসের কথা বলতে গেলে, স্বামী বিবেকানন্দও এই মন্দিরে গিয়েছিলেন।
কাসার দেবী মন্দির স্বামী বিবেকানন্দ সংযোগ:
১৮৯০ সালে স্বামী বিবেকানন্দ যখন এখানে এসেছিলেন, তিনি এখানে ধ্যান করেছিলেন। তাঁর এই জায়গাটি এত ভালো লেগেছিল যে তিনি তার ডায়েরিতে এই জায়গার উল্লেখ করেছিলেন। তিব্বতি বৌদ্ধ লামা অনাগরিকা গোবিন্দ ১৯৩০ সালে এখানে আসেন এবং কয়েক দশক ধরে এখানে ছিলেন। তারপর থেকে বহু বৌদ্ধ সাধক এখানে এসেছেন।
কি বিশেষত্ব এই মন্দিরের:
আলমোড়া পাহাড়ে অবস্থিত এই মন্দির সম্পর্কে বলা হয় যে এটি দেশের একমাত্র স্থান যেখানে চৌম্বকীয় শক্তি বিদ্যমান। মন্দিরের চারপাশে এমন অনেক এলাকা রয়েছে যেখানে চৌম্বক শক্তি পরিলক্ষিত হয়েছে। মন্দির চত্বরে এমন কিছু শক্তি আছে যা শরীরকে নিজের দিকে টেনে নেয়। কেন এমন হয় তা জানতে নাসার বিজ্ঞানীরাও এসেছিলেন, কিন্তু তারাও এর রহস্য জানতে পারেননি।
যাওয়া যাবে এভাবে :
দিল্লি থেকে এই মন্দিরের নিকটতম দূরত্ব ৩৫০ কিলোমিটার। এখানকার নিকটতম বিমানবন্দর হল পন্তনগর যা দেরাদুনে অবস্থিত। মন্দিরটি সেখান থেকে প্রায় ১২৪ কিলোমিটার দূরে। এখান থেকে বাস ও ট্যাক্সি করে মন্দিরে যাওয়া যায়। ট্রেনে আসতে চাইলে কাঠগোদাম রেলস্টেশনে নামতে হবে। সেখান থেকে এই মন্দিরটি ৮৮ কিলোমিটার দূরে রয়েছে।
No comments:
Post a Comment