আপেলের মতো কোনও ফল যদি দিনে একবার খাওয়া ভালো বলে মনে করা হয়, তা হল কলা। কলায় বেশি ভিটামিন, পটাসিয়াম ফাইবার, আয়রন এবং ক্যালসিয়ামের মতো পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়। বেশিরভাগ লোকই কাঁচা কলা খেয়ে থাকে।
আবার পাকা হলুদ রঙের কলা খাওয়া হয় বা স্মুদি তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু অনেক সময় বেশি পাকা কলা যার খোসার রঙ কালো বা বাদামী হয়ে যায়। সেগুলো অনেকে একে পচা ভেবে ফেলে দেওয়া । কিন্তু জানেন কি বেশি পাকা কলা খেলে শরীরে অনেক উপকার পাওয়া যায়।
পাকা কলাতে প্রচুর পরিমাণে ট্রিপটোফেন থাকে যা মানসিক চাপ ও উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও অতিরিক্ত পাকা কলায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা অনেক রোগ থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে। চলুন জেনে নেই অতিরিক্ত পাকা কলা খাওয়ার উপকারিতা কী-
কোষ রক্ষা করে:
অতিরিক্ত পাকা কলা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। অতিরিক্ত পাকা কলা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। শুধু তাই নয়, এগুলো কোষকে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া থেকে বাঁচাতেও সাহায্য করে।
হজম করা সহজ:
অতিরিক্ত পাকা কলায় উপস্থিত স্টার্চ ফ্রি শর্করায় রূপান্তরিত হয়, যার কারণে এগুলি সহজে হজম হয়। এগুলো খেলে শরীরে তাৎক্ষণিক শক্তি আসে। যাদের পরিপাকতন্ত্র দুর্বল তাদের বেশি করে পাকা কলা খাওয়া উচিৎ।
হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো:
অতিরিক্ত পাকা কলা হৃদরোগের জন্যও উপকারী কারণ এতে বেশি পটাসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম থাকে। এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। বেশি করে পাকা কলা খেলে কোলেস্টেরলও কমে এবং এটি হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতেও সহায়ক।
ক্যান্সার প্রতিরোধ করে:
অতিরিক্ত পাকা কলায় একটি বিশেষ ধরনের পদার্থ তৈরি হয়, যাকে টিউমার নেক্রোসিস ফ্যাক্টর বলে। এটি ক্যান্সার এবং অন্যান্য অস্বাভাবিক কোষের বৃদ্ধি এবং বিস্তার রোধ করে।
অম্বল উপশম:
অতিরিক্ত পাকা কলা খেলে অ্যাসিডের সমস্যা দূর হয়। আসলে, এটি একটি অ্যান্টাসিড হিসাবে কাজ করে। এতে উপস্থিত বৈশিষ্ট্যগুলি ক্ষতিকারক অ্যাসিড থেকে পাকস্থলীর ভিতরের আবরণকে রক্ষা করে। এগুলো খেলে অ্যাসিডিটির সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
পেশী ব্যথা উপশম:
পাকা কলা পেশী ব্যথা থেকে মুক্তি দেয়। পেশীর ব্যথায় আক্রান্ত রোগীদের বেশি করে পাকা কলা খাওয়া উচিৎ কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম রয়েছে, যা পেশীর ব্যথা এবং ক্র্যাম্প উপশম করতে সাহায্য করে।
No comments:
Post a Comment