বিশ্বের বৃহত্তম পাখির মূর্তি রয়েছে এখানে

আমাদের দেশে এমন অনেক জিনিস রয়েছে যা  ইতিহাস এবং সংস্কৃতি প্রদর্শন করে।  তাদের দেখে সবাই খুব গর্বিত।  এমনই একটি মূর্তি কেরলের কোল্লামের জটায়ু পার্কে স্থাপন করা হয়েছে।এই পার্কে তৈরি করা হয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় পাখির মূর্তি।  এই পার্কটি খুব সুন্দর সমতল ভূমিতে অবস্থিত।  এই পার্কে পর্যটকদের জন্য অনেক ভালো সুযোগ-সুবিধেও রয়েছে।  বিশেষ বিষয় হল বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই পাখির মূর্তিটি রামায়ণের সঙ্গে সম্পর্কিত।

 কেরালা রাজ্যের কোল্লাম জেলার চাদায়ামঙ্গলম গ্রামে ৬৫ একর জমির উপর নির্মিত জটায়ু নেচার পার্ক।  এখানে পৌছলে এবড়োখেবড়ো পাহাড়ের মনোরম দৃশ্য দেখতে পাবেন।  পৌরাণিক কাহিনী সম্পর্কিত এই মূর্তিটি ২০০ ফুট লম্বা, ১৫০ ফুট চওড়া এবং ৭০ ফুট উঁচু।  এটি দেশের বৃহত্তম মূর্তিগুলির মধ্যে একটি, সেইসাথে বিশ্বেরও বৃহত্তম পাখির মূর্তি।

রাজীব আঁচল একজন বিখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা, ভাস্কর এবং গুরুচন্দ্রিকা বিল্ডার্স অ্যান্ড প্রপার্টিজ প্রাইভেট লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক।  এই নেচার পার্কের বিশাল প্রজেক্ট এবং আকর্ষণীয় পাখির ভাস্কর্য করার স্বপ্ন ছিল তার।  সাত বছর লেগেছে এই প্রতিমা তৈরি করতে।  কংক্রিটের তৈরি এই কাঠামোটি পাথরের ফিনিশিং দিয়ে তৈরি করা হয়েছে।  এটি তৈরিতে অনেক অসুবিধে ছিল কারণ এটির সমস্ত উপাদান শীর্ষে নিয়ে যাওয়া কঠিন ছিল।  এছাড়াও এই মূর্তিটিতে একটি অডিও-ভিজ্যুয়াল ভিত্তিক ডিজিটাল জাদুঘর রয়েছে যা রামায়ণ সম্পর্কে বলে।

 রামায়ণে বিশ্বাস করা হয়, রাবণ যখন মা সীতাকে অপহরণ করে লঙ্কায় যাচ্ছিলেন, তখন তিনি জটায়ুর মুখোমুখি হন।  এরপর তাদের মধ্যে যুদ্ধ হয়।  যুদ্ধে জটায়ু রাবণের হাতে আহত হওয়ার পর এটি চাদায়মঙ্গলমের একটি পাহাড়ের চূড়ায় পড়েছিল।  জটায়ু সীতা মাতাকে বাঁচানোর চেষ্টা করে , কিন্তু বৃদ্ধ হওয়ায় তিনি রাবণকে থামাতে পারেননি। মূর্তিটি একই স্থানে একটি পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত যেখানে তিনি ভগবান রামকে অপহরণের কথা জানিয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছিলেন।