২২শে মার্চ, শুরু হয়েছে চৈত্র নবরাত্রি উৎসব। মা দুর্গার নয়টি রূপের পূজো করা হয়। নবরাত্রির নয় দিনে উপবাস রাখার গুরুত্ব রয়েছে। চলুন জেনে নেই মা কুষ্মাণ্ডার আবির্ভাবের কথা-
মা কুষ্মাণ্ডার পূজোর মন্ত্র হল:
ইয়া দেবী সর্বভূতেষু মা কুষ্মাণ্ডা রূপেন সংস্থিতা।
নমস্তস্যায় নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমো নমঃ ॥
সুরসম্পূর্ণা কালাশন্ রুধিরপ্লুতমেব চ।
দধন হস্তপদ্মভয়নে কুষ্মাণ্ড শুভদস্তুতে।
মা কুষ্মাণ্ডার প্রকৃতি:
মা কুষ্মাণ্ডার আটটি বাহু রয়েছে। তাই মাকে অষ্টভুজাও বলা হয়। তার আট হাতে কমন্ডল, ধনুক, তীর, পদ্মফুল অমৃতে ভরা কলস, চক্র, গদা ও জপমালা। সিংহ তার বাহন। মা কুষ্মাণ্ডার আবাস সৌরজগতের অভ্যন্তরে।
মা কুষ্মাণ্ডার গল্প:
ধর্মগ্রন্থ অনুসারে, যখন মহাবিশ্ব সৃষ্টি হয়নি, তখন চারিদিকে অন্ধকার ছিল। তারপর মা কুষ্মান্ডা তাঁর হাসি দিয়ে মহাবিশ্ব সৃষ্টি করেন। তাই মাকে মহাবিশ্বের আদিশক্তিও বলা হয়। মৃদু হাসির মাধ্যমে বিশ্বব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টি হয়েছে বলেই তার নাম রাখা হয়েছিল কুষ্মাণ্ডা।
মা কুষ্মাণ্ডার এত শক্তি যে তিনি সূর্যের বৃত্তেও থাকতে পারেন। তাদের আবাস সৌরজগতের অভ্যন্তরে। শুধুমাত্র মা কুষ্মান্ডা সূর্য জগতে বাস করার ক্ষমতা রাখেন এবং দশটি দিক তার তেজ দ্বারা আলোকিত হয়। কথিত আছে যে, তার দীপ্তির কারণে ব্রহ্মাণ্ডের সমস্ত বস্তু ও প্রাণী দীপ্তিতে পরিব্যাপ্ত হয়।সত্য চিত্তে কুষ্মাণ্ডা দেবীর আরাধনা করলে দেবীর আশীর্বাদ পাওয়া যায়। মার পূজো করলে রোগ ও দুঃখ দূর হয় এবং যশ ও বয়স বৃদ্ধি পায়।
No comments:
Post a Comment