লাসিথ মালিঙ্গা, ২০০৪ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এই শ্রীলংকার বোলারের আন্তর্জাতিক অভিষেক হয়।
ইয়র্কার কিং লাসিথ মালিঙ্গার আজ কোনও আলাদা পরিচয়ের দরকার নেই। শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন এই ফাস্ট বোলার তার নির্ভুল ইয়র্কারের জন্য পরিচিত। কিন্তু জানেন কি ১৭ বছর বয়সে প্রথমবারের মতো এই বল ধরেছিলেন মালিঙ্গা। আসুন জেনে নেই কিভাবে তিনি ক্রিকেট বিশ্বের কিংবদন্তি বোলার হয়ে উঠলেন-
লাসিথ মালিঙ্গার জন্ম গলের রাতগামায়। তিন ভাইয়ের মধ্যে মালিঙ্গা দ্বিতীয়। তাঁর বাবা একজন বাস মেকানিক এবং মা একটি গ্রামীণ ব্যাঙ্কে কাজ করতেন। মালিঙ্গা অন্যান্য অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের তুলনায় দেরিতে ক্রিকেট খেলা শুরু করেন। তিনি ১৩ বছর বয়সে ক্রিকেট শুরু করেছিলেন, কিন্তু তখন তিনি শুধুমাত্র সৈকতের বালিতে টেনিস বল দিয়ে ক্রিকেট খেলতেন।
মালিঙ্গার বোলিং অ্যাকশন শুরু থেকেই অদ্ভুত ছিল। গল ক্রিকেট ক্লাবে অনুশীলন করতেন মালিঙ্গা। একই ক্লাবে কোচ ছিলেন শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন ফাস্ট বোলার চম্পাকা রামানায়েক। তিনি প্রায়ই দলের হয়ে খেলোয়াড় হিসেবে খেলেন। একদিন চোটের কারণে ম্যাচ খেলার সুযোগ পান মালিঙ্গা। এটি ছিল মালিঙ্গার প্রথম লেদার বলের ম্যাচ যখন তার বয়স ছিল ১৭ বছর।
প্রথম ম্যাচে লেদার বল দিয়ে ৮ উইকেট নিয়েছিলেন মালিঙ্গা। কোচ চম্পক সেসময় বুঝতে পারেন তাঁর মধ্যে বিশেষ কিছু আছে। এরপর তিন মাস মালিঙ্গাকে প্রশিক্ষণ দেন চম্পক। যদিও চম্পক তার অ্যাকশনে উন্নতি করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। এরপর ভিদালোকা কলেজে ভর্তি হন মালিঙ্গা। কলেজের হয়ে তার দ্বিতীয় ম্যাচে মালিঙ্গা নেলুভা কলেজের বিপক্ষে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন।
কলেজের এই ম্যাচে আম্পায়ারিং করেছিলেন মাহিন্দা কলেজের অধ্যক্ষ ধনপ্রিয়া। মালিঙ্গার পারফরম্যান্স দেখে ধনপ্রিয়া তাকে মাহিন্দা কলেজে ভর্তি হওয়ার প্রস্তাব দেন। মালিঙ্গা সানন্দে ক্রিকেটের জন্য বিখ্যাত মাহিন্দা কলেজের প্রস্তাব গ্রহণ করেন। মাহিন্দা কলেজে তার পারফরম্যান্স দিয়ে আতঙ্ক তৈরি করেছিলেন মালিঙ্গা।
মালিঙ্গার পারফরম্যান্সের খবর পৌঁছে যায় শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডের কাছে। ২০০১ সালে তাকে নেট অনুশীলনের জন্য ডাকা হয়, যেখানে তিনি তার বোলিং দিয়ে সমস্ত ব্যাটসম্যানদের কালঘাম ছুটিয়ে দেন। এর পর, তিনি জুলাই ২০০৪ সালে তার আন্তর্জাতিক অভিষেক করেন এবং সেই ম্যাচে ৬ উইকেট নেন।
No comments:
Post a Comment