আজকাল বেশি স্ট্রেস নেওয়া, শারীরিক পরিশ্রমের অভাব এবং একটানা কাজ করার কারণে অনেকেই মানসিক চাপের শিকার হন। এই কারণে, এটি শুধুমাত্র স্বাস্থ্যের উপর খুব খারাপ প্রভাব ফেলে না, এটি স্মৃতিশক্তিও দুর্বল করে দেয়। এমতাবস্থায় স্মৃতিশক্তি বাড়াতে এবং মানসিক চাপ কমাতে নিয়মিত ব্যায়াম করা, কাজের মাঝে বিরতি নেওয়াই যথেষ্ট নয়। এছাড়া শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় কিছু ভিটামিন ও মিনারেল পাওয়াও প্রয়োজন। আসুন জেনে নেওয়া যাক সেই ভিটামিন ও খনিজ উপাদানগুলো যা স্মৃতিশক্তি বাড়াতে উপকারী-
ভিটামিন সি:
পার্সলে, স্প্রাউটস, সাইট্রাস ফল, ব্রকলি, আলু, স্ট্রবেরি, কিউই, লাল লংকা , বাঁধাকপি এবং শাক-সবজির মতো খাবার ভিটামিন সি-এর একটি চমৎকার উৎস। এই খাবারগুলো ডায়েটে রাখতে পারেন।
ভিটামিন ই:
ভিটামিন ই প্রাকৃতিকভাবেও গ্রহণ করা যেতে পারে। এ জন্য খাদ্যতালিকায় শুকনো ফল, বীজ, গোটা শস্য, আখরোটের তেল, গমের বীজ এবং স্প্রাউট ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন।
ম্যাগনেসিয়াম:
ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার স্মৃতিশক্তি বাড়াতেও বেশ উপকারী। ডায়েটে আপেল, জোয়ান, চেরি, ডুমুর, সবজি, পেঁপে, মটর, কুল, আলু, সবুজ শাক এবং আখরোট ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন।
ভিটামিন বি ১২:
ভিটামিন বি১২সমৃদ্ধ খাবারও স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। ভিটামিন বি ১২সমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে দুধ, মুরগির মাংস, ডিম এবং মাছ ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।
লেসিথিন:
লেসিথিনের প্রাকৃতিক উৎসের মধ্যে রয়েছে ডিমের কুসুম, বাদাম, তিলের বীজ, সয়াবিন, গোটা শস্য এবং গম।
ফসফ্যাটিডিলসারিন:
ফসফ্যাটিডিলসারিন সমৃদ্ধ খাবারের জন্য, সয়াবিন খেতে পারেন।
ফ্ল্যাভোনয়েড:
খাবারে পেঁয়াজ, বাঁধাকপি, ব্রকলি, ফুলকপি এবং শালগম ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। এ ছাড়া কমলা রঙের ফল, লঙ্কা, শিমের বীজ ইত্যাদি নিতে পারেন।
ক্যারোটিনয়েড:
ডায়েটে ক্যারোটিনয়েড সমৃদ্ধ গাজর, স্প্রাউট, মিষ্টি আলু, পালং শাক, জোয়ান, লাল লংকা, টমেটো এবং কমলার মতো ফল অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন।
No comments:
Post a Comment