গরুকে মা রূপে দেখা হয়, তার করা হয় পূজো। শহরের থেকে গ্রাম বাংলায় দেখা যায় প্রত্যেকের বাড়ীতে গরু থাকে বা দেখা যায়। সকালে ঘুম থেকে উঠে গরুকে সিঁদুর লাগিয়ে, ধূপ ধুনো দেখিয়ে, কিছু খাওয়ালে বাড়ীর শ্রী বৃদ্ধি হয়। চলুন গরুদের নিয়ে কিছু তথ্য জেনে নেই-
যেখানে মা গরু দাঁড়িয়ে শান্তিতে শ্বাস নেয়। সেখানে বাস্তু দোষ দূর হয়। যে স্থানে গরু সুখে চরে বেড়ায়, সেখানে দেব-দেবীরা ফুল বর্ষণ করেন।
মা গরুর গলায় ঘণ্টা বেঁধে গরুর আরতি করা হয়। যে ব্যক্তি গরুর সেবা করে পূজা করে, তার উপর আসা সকল প্রকার দুর্যোগ দূর হয়। নাগদেবতা থাকেন মা গরুর খুরে। যেখানে মা গরুর বিচরণ সেখানে সাপ-বিছে প্রবেশ করে নাl।
গোবরে দেবী লক্ষ্মীর অধিবাস। একটি মা গাভীকে চারণ দান করলে তেত্রিশ কোটি দেবতা অন্ন পান।
মায়ের গরুর দুধ, ঘি, মাখন, দই, গোবর, গোমূত্র থেকে তৈরি পঞ্চগব্য হাজারো রোগের ওষুধ পাওয়া যায়। যে ব্যক্তির ভাগ্য রেখা ঘুমিয়ে আছে, সেই ব্যক্তিকে নিজের তালুতে গুড় রেখে গরুকে দেয়, আর গরু জিভ দিয়ে সেই গুড় চেটে খেলে সেই ব্যক্তি ভাগ্য উদয় হয়।
মা গরুর পিঠে একটি উঁচু কুঁজ থাকে, সেই কুঁজে সূর্য-কেতুর নাড়ি থাকে। প্রতিদিন সকালে মা গরুর কুঁজে আধ ঘণ্টা হাত ঘষলে রোগ সেরে যায়। মা গরুর চার পাশে প্রদক্ষিণ করলে মানুষ ভয়মুক্ত হয়।
এই পৃথিবীতে দেব-দেবীরা অবতীর্ণ হয়েছেন শুধুমাত্র মা গরুর সেবার জন্য। যখন একটি মা গাভী একটি বাছুর জন্ম দেয়, তখন সেই দুধ কোনও বন্ধ্যা মহিলাকে প্রথম দুধ খাওয়ালে তার বন্ধ্যাত্ব দূর হয়।
একটি সুস্থ মা গরুর মূত্র প্রতিদিন কাপড়ে ছেঁকে পান করলে সকল রোগ সেরে যায়। মা গরুকে স্নেহময় দৃষ্টিতে দেখা ভাল।
কালো গরুর পূজো করলে নয়টি গ্রহ শান্ত থাকে। যে ব্যক্তি ধর্মের সাথে যত্ন সহকারে গরুর পূজো করে, সেই ব্যক্তি শত্রু ও দোষ থেকে মুক্তি পায়।
গরু একটি চলন্ত মন্দির। আমাদের সনাতন ধর্মে তেত্রিশ কোটি দেবতা আছে এই গরুর শরীর। আমরা প্রতিদিন তেত্রিশ কোটি দেব-দেবীর মন্দিরে গিয়ে তাদের দেখতে পারি না, কিন্তু মা গরু দেখলেই সব দেব-দেবীকে দেখা যায়।
No comments:
Post a Comment