দিল্লি পুলিশ এক মহিলা সহ চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে, এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ যে এরা হানি ট্র্যাপের মাধ্যমে মানুষকে টার্গেট করতো আর ভয় দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে টাকা আদায় করতো।
শাহদারার বাসিন্দা নন্দ কিশোর নামে এক ব্যক্তি পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছিলেন, যার পরে পুলিশ ভারতীয় দণ্ডবিধির (আইপিসি) ৩৮৯, ৪১৯, ১৭০, ১২০বি এবং ৩৪ ধারায় মামলা দায়ের করেছে। অভিযোগে, নন্দ কিশোর বলেছেন যে তিনি ইন্টারনেট সার্ফিং করছিলেন, যেখানে তিনি একটি ওয়েবসাইটে একটি নম্বর খুঁজে পান।
এরপর এক মহিলার সাথে তাঁর কথা হয়। কথার জালে ফাঁসিয়ে ওই মহিলা আরেক মহিলা বন্ধুর সাথে পরিচয় করান ওই ব্যক্তির। এরপর নিজের বন্ধু হিসাবে পরিচয় করিয়ে দিয়ে তাঁর বন্ধুর বাড়িতে নিয়ে যেতে বলে ওই ব্যক্তি বলে।
এরপর ওই ব্যক্তি আর ওই মহিলা একটি কক্ষে চলে যায়।কিছুক্ষণ পর হঠাৎ কেউ দরজায় টোকা দিলে দরজার সামনে ৪-৫ জন লোক এসে হাজির হয় যারা নিজেদের পরিচয় দেয় ক্রাইম ব্রাঞ্চ অফিসার হিসাবে, তাঁদের সাথে ইউনিফর্ম পরা একজন মহিলাও উপস্থিত ছিলেন, তিনি নিজেকে পুলিশ কনস্টেবল হিসেবে পরিচয় দেন।
এরপর শুরু হয় ব্ল্যাকমেইলিং এর পুরো খেলা। পুলিশ হিসাবে পরিচয় দেওয়া লোকটি হুমকি দিয়েছে যে তারা তাকে POCSO মামলায় গ্রেপ্তার করবে কারণ সে একটি নাবালিকা মেয়ের সাথে সম্পর্কের চেষ্টা করার জন্য। এরপর তারা অভিযোগকারীর ফোন কেড়ে নিয়ে মারধর করে এবং ১০লক্ষ টাকা দাবি করে। বলা হয় এই টাকা না দিলে তারা তাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেবে।
অভিযোগকারী টাকা দিতে না চাইলে ইউনিফর্ম পরা ওই ব্যক্তি তাকে পুলিশ সদর দফতরে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেয় এবং তারপর তাকে বাইরে গাড়িতে বসতে বলে। এরপর অভিযোগকারী বলেন, তিনি টাকার ব্যবস্থা করবেন, তার পরে অভিযুক্তরা গাড়ি থামায়।এর মধ্যে অভিযোগকারী কোনওভাবে নিজেকে গাড়ি থেকে নেমে চিৎকার করা শুরু করলে ভীড় জড়ো হয়ে পুলিশ পরিচয়ে ওই ব্যক্তিকে ধরে ফেলে। পিসিআর কল করে ওই মহিলা সহ ব্যক্তিদের গ্রেফতার করা হয়।
No comments:
Post a Comment