শাস্তি হিসেবে গত কয়েক দশক ধরে দেশে ফাঁসির ঘটনা ঘটলেই সেই ফাঁসির ব্যবহৃত দড়ি বক্সার জেল থেকে আনা হয়েছে। তা পুনে জেলে আজমল কাসাবের ফাঁসি হোক বা ২০০৪ সালে কলকাতায় ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়ের ফাঁসি। চলুন জেনে নেই এই দড়িটির নাম ও বিশেষত্ব কি-
১৯৩০ সাল থেকে বক্সার জেলে ফাঁসির দড়ি তৈরি হয়। আসলে, ফাঁসির জন্য তৈরি এই দড়িটি বিশেষ ধরনের। এই দড়ি সেতু তৈরি, ভারী জিনিস তোলা ইত্যাদি কাজে ব্যবহৃত হয়।
দড়ির নাম:
এই দড়িটি প্রথম ফিলিপাইনের একটি উদ্ভিদ থেকে তৈরি করা হয়, তাই এর নাম ম্যানিলা রোপ। এটি জল দিয়ে প্রভাবিত হয় না, বরং এটি জল শোষণ করে।
বক্সার জেলে বিশেষজ্ঞরা আছেন যারা এই ধরণের দড়ি তৈরি করেন, এর সাথে বন্দীদেরও এটি তৈরির দক্ষতা শেখানো হয়। এই দড়ি তৈরির জন্য আগে J-৩৪ তুলোর সুতো বিশেষভাবে ভাটিন্ডা পাঞ্জাব থেকে আনা হত, কিন্তু এখন অনেক বেসরকারি সংস্থা গয়া বা পাটনা থেকে আনা হয়। জেলের কাছে থেকেই গঙ্গা নদী প্রবাহিত হয়। এই কারণেই এর আর্দ্রতা দড়ির শক্তি এবং গঠনের উপরও বিশেষ প্রভাব ফেলে।
দড়ি তৈরিতে কী লাগে :
ফাঁসির জন্য তৈরি দড়ি বিশেষ পদ্ধতিতে তৈরি করা হয়। এটি তৈরিতেও মোম ব্যবহার করা হয়। এটি তৈরিতে তুলোর সুতো, ফেভিকল এবং প্যারাসুটের দড়িও ব্যবহার করা হয়। কারাগারের ভেতরেই একটি পাওয়ারলুম মেশিন বসানো হয়েছে। এই মেশিনটি থ্রেড গণনা করে এবং তাদের আলাদা করে।
এই দড়ি কত বড়?
সাধারণত, একজন ব্যক্তির ফাঁসিতে ছয় মিটার দৈর্ঘ্যের দড়ি ব্যবহার করা হয়। সাধারণত এই দড়ির ওজন হয় চার কেজি বা তার বেশি। এটি তৈরির আদেশ পৌঁছালেই জেলে এর কাজ শুরু হয়। এই দড়ির দাম ১০০০ টাকা থেকে ২০০০ টাকা।
এই দড়ি কত ওজন সহ্য করতে পারে:
এই দড়ি সহজেই ৮০ কেজি ওজনের একজনকে ফাঁস দিতে পারে।
No comments:
Post a Comment