আর মাত্র মাস দুয়েক পরেই শুরু হবে ঠান্ডা কাল অর্থাৎ শীত কাল। শীত এড়াতে আমরা শীত বস্ত্র পড়ে থাকি। মায়ের হাতে বানানো সোয়েটার হোক বা বাজারে পাওয়া শাল, গ্লাভস, মোজা। কিন্তু আপনি কি জানেন এই উলের পোশাকেরও মজার ইতিহাস রয়েছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক -
উলের ইতিহাস বেশ প্রাচীন। বেদে ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের জন্য উলের পোশাকের উল্লেখ আছে। ঋগ্বেদে রাখালদের দেবতা পশমার স্তুতির বর্ণনা আছে এবং চরকার পশমেরও উল্লেখ আছে। ধারণা করা হয় হাজার বছর আগে যখন বন কাটা শুরু হয়ে, বসতি শুরু হয়। যখন দুধ ও মাংসের জন্য ভেড়া-ছাগল পালন শুরু হয়, তখন থেকেই পশম তৈরির ধারণা আসে। ধারণা করা হয়, সেই সময়ে প্রথম কাপড় উল দিয়ে তৈরি করা হতো। মিশর, ব্যাবিলনের সমাধিতেও পশমের কাপড়ের টুকরো পাওয়া গেছে।
ইতিহাসে উল্লেখ আছে যে, উইনচেস্টার কারখানায় উলের ব্যবহার শুরু হওয়ার পর ইংল্যান্ডে এটি ব্যবহার করা হয়। ১৭৮৮ সালে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হার্টফোর্ডে একটি জল চালিত উলের কারখানা শুরু হয়েছিল। তখন কেরাটিন নামক প্রোটিন থেকে উল তৈরি করা হতো। এটি এই প্রোটিন ছিল আমাদের চুল ও নখ, পাখির পালক এবং পশুর শিং। উল যদি আসল হয়, তবে এটি কখনই আগুন ধরতে পারে না।
কাশ্মীর, তিব্বত এবং পামিরের মালভূমিতে পাওয়া উল খুবই ভালো উল।এই উলকে পশমিনা উল বলা হয়। দক্ষিণ আমেরিকার পেরুর আন্দিজ পর্বতমালায় ভিকুনা নামের একটি প্রাণীর থেকে উল পাওয়া যায়। এটি সবচেয়ে দামী বলে মনে করা হয়।
মেরিনো জাতের ভেড়ার পশম একটি ভালো মানের উল হিসেবে বিবেচিত হয়। বলা হয় যে একটি মেরিনো ভেড়া এক বছরে ৫,৫০০ মাইল পর্যন্ত উল উৎপাদন করতে পারে।
No comments:
Post a Comment