প্রত্যেক মানুষই চায় সুস্থ ও ফিট থাকতে যাতে তাকে সবসময় তরুণ দেখায়। এ জন্য মানুষ অনেক ধরনের শুকনো ফল খায়। কিশমিশ এমনই একটি জিনিস যা স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। কিশমিশ শুধু ত্বকেরই বিশেষ যত্ন নেয় না, অনেক রোগ থেকে শরীরকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। এটি যৌন জীবন ভালো করতেও সহায়ক।
কিশমিশে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে। কিশমিশ ফাইবারেরও ভালো উৎস। এটি খেলে আমরা অনেক রোগ থেকে বাঁচতে পারি। অনেক সময় দেখা যায় বিয়ের কয়েক বছর পর পুরুষের যৌন জীবন ভালো থাকে না। এর পেছনে অনেক কারণ থাকতে পারে। এক্ষেত্রে কিসমিস সেবন উপকারী হতে পারে।
কিসমিস খেলে তারুণ্য বজায় থাকবে: কিশমিশ টেস্টোস্টেরন বাড়াতে কাজ করে। পুরুষদের শরীরে তৈরি হওয়া সেক্স হরমোনকে টেস্টোস্টেরন বলা হয়, এই হরমোনটি সেক্স ড্রাইভ বাড়াতে কাজ করে। এই অর্থে কিসমিস সেবন করলে তারুণ্য অনেকদিন অটুট থাকে।
কিশমিশ জলের উপকারিতা: কিশমিশের জলেও শরীরে অনেক উপকার করে। এটি হজমশক্তিকে শক্তিশালী করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। আপনি রাতে পানিতে কিশমিশ রাখুন। সকালে একই পানিতে কিশমিশ সিদ্ধ করে, কুসুম গরম হলে পান করুন। এটি আপনাকে শক্তি দেবে এবং ওজন কমাতেও সাহায্য করবে।
কিসমিস রক্তের অভাব দূর করে: কিশমিশ খেলে রক্তের ঘাটতি দূর হয়। কিশমিশে প্রচুর পরিমাণে আয়রন পাওয়া যায়, প্রতিদিন তা ভিজিয়ে খেলে লোহিত রক্ত কণিকা তৈরি হয়।
কিসমিস ওজন কমাতে সহায়ক: কিসমিস খেলে ওজন কমানো যায়। এটি চর্বিমুক্ত এবং কম চিনিযুক্ত শুকনো ফল। এর সেবনের কারণে শরীরে ক্যালরির পরিমাণ বাড়ে না, তাই এর সেবনে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।
No comments:
Post a Comment