১২টি জ্যোতির্লিঙ্গের মধ্যে ওমকারেশ্বর হল মহাদেবের চতুর্থ জ্যোতির্লিঙ্গ। শিব পুরাণে, ওমকারেশ্বর জ্যোতির্লিঙ্গ পরমেশ্বর লিঙ্গ নামেও পরিচিত। মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরের কাছে অবস্থিত এই জ্যোতির্লিঙ্গ। আসুন জেনে নেই ভোলেনাথের এই জ্যোতির্লিঙ্গ কীভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়?
নর্মদা ও কাবেরী নদীর বয়ে গেছে এই মন্দিরের পাশ দিয়ে। ওম আকারে রয়েছে এই জ্যোতির্লিঙ্গ এ কারণে এই জ্যোতির্লিঙ্গকে ওমকারেশ্বর বলা হয়।
ওমকারেশ্বর জ্যোতির্লিঙ্গ দুটি ভাগে বিভক্ত। এখানে মহাদেব ওমকারেশ্বর ও মমলেশ্বর রূপে পূজিত হন। এখানে বাবা ভোলেনাথ রাতে ঘুমতে আসেন।
শিব ও মা পার্বতী এখানে প্রতিদিন পাশা খেলেন বলে বিশ্বাস করা হয়। শয়ন আরতির পরে, মন্দিরের পুরোহিতরা প্রতিদিন পাশার ঠিক করে রেখে যান এবং তারপরে দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর গর্ভগৃহে কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না। বলা হয়, সকালে এসব পাশা উল্টো পাওয়া যায়। কীভাবে এই পাশা উল্টে যায় তা আজ অবধি কেউ এই রহস্যের সমাধান করতে পারেনি।
মান্ধাতা ও শিবপুরী পর্বতে ওমকারেশ্বর জ্যোতির্লিঙ্গ অবস্থিত। কিংবদন্তি অনুসারে, রাজা মান্ধাতা এখানে এই পর্বতে কঠোর তপস্যা করে ভোলেনাথকে খুশি করেছিলেন। তাই এখানে শিবলিঙ্গ রূপে উপবিষ্ট হন। সেই থেকে এই পর্বতের নাম মান্ধাতা পর্বত।
পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, সম্পদের দেবতা কুবের এখানে একটি শিবলিঙ্গ স্থাপন করে মহাদেবকে খুশি করার জন্য কঠোর তপস্যা করেছিলেন। ভোলেনাথ কুবেরের তপস্যায় খুশি হয়ে কুবেরকে সম্পদের দেবতা বানিয়েছিলেন।
এখানেই শিব শম্ভু তার চুল দিয়ে কাবেরী নদী তৈরি করেছিলেন। এখানেই কাবেরী ও নর্মদা নদীর সঙ্গম হয়েছে। ধনতেরাসে এই সঙ্গমস্থলে বিশেষ পূজো করা হয়।
No comments:
Post a Comment