দেশের অন্যতম ধনী মন্দির হল তিরুবনন্তপুরমের শ্রীপদ্মনাভ স্বামী মন্দির। বলা হয় যে এই মন্দিরের সপ্তম দরজা খুললে অনেক বড় গুপ্তধন বেরিয়ে আসতে পারে । অনেকে এটিকে অভিশপ্ত অন্ধকূপ বলেও মনে করেন।
এই গুপ্তধন নিয়ে অনেক ধরনের দাবি করা হয়। এখন প্রশ্ন জাগে যে এই ৭ম গেটের পিছনে যদি এত বিশাল গুপ্তধন থাকে, তাহলে এই গেট কেন খোলা হল না কেন? এই গেটটি কীভাবে বন্ধ হয়, এই গেটের বিশেষত্ব কী এবং কত টাকা থাকতে পারে?
ভগবান বিষ্ণুর এই মন্দিরটি ত্রাভাঙ্কোরের রাজারা ৬ষ্ঠ শতাব্দীতে তৈরি করেছিলেন, যা ৯ ম শতাব্দীর গ্রন্থে উল্লেখ রয়েছে। কথিত আছে যে এই রাজারা তাদের সমস্ত ধন এই মন্দিরেই লুকিয়ে রেখেছিলেন। এখন রাজপরিবার শুধু মন্দিরের দেখভাল করে। এই মন্দিরে ৭টি দরজা রয়েছে যার মধ্যে ৬টি দরজা খোলা হয়েছে এবং এতে প্রচুর মূল্যবান জিনিসপত্র পাওয়া গেছে। এর সপ্তম গেট এখনও খোলা হয়নি এবং এখন এটি খোলার উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
কেমন ৭ম দরজা :
বলা হয় যে সাপ এই দরজাকে রক্ষা করে এবং কাউকে দরজা খুলতে দেয় না। বিশ্বাস অনুসারে, যে এই দরজা খুলবে তারই সাপের কামড়ে তার মৃত্যু হবে। আসলে এই দরজাটি স্টিলের তৈরি এবং এর উপর দুটি সাপ তৈরি করা হয়েছে।
তবে এই দরজায় কোনও তালা নেই এবং এটি খোলার আলাদা উপায় রয়েছে। বিশ্বাস করা হয় যে এটি শুধুমাত্র সাপের মন্ত্রগুলির মাধ্যমে খোলা হয়, তবে এটি খোলার ক্ষেত্রে অনেক ঝুঁকি রয়েছে।
কে খুলতে পারে :
এই খোলার কাজটি কেবল একজন প্রমাণিত ব্যক্তিই করতে পারেন এবং এখনও পর্যন্ত এমন কাউকে পাওয়া যায়নি।
রিপোর্ট অনুযায়ী, পদ্মনাভ স্বামী মন্দিরের ৬টি দরজায় এখনও পর্যন্ত ১,৩২,০০০ কোটি টাকার সম্পত্তি পাওয়া গেছে। এর মধ্যে রয়েছে সোনার মূর্তি, হীরা, গহনা ইত্যাদি।
অনেক ইতিহাসবিদ অনুমান করেন যে এতে এত সোনা রয়েছে যে এটি দেশের রাজস্ব উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করতে পারে। ধারণা করা হচ্ছে মন্দিরে থাকা গুপ্তধনের মোট মূল্য ১ ট্রিলিয়ন ডলারেরও বেশি।
No comments:
Post a Comment