স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক ভালোবাসা ও বিশ্বাসের সুতোয় বাঁধা। এই সম্পর্কটি তখনই স্থায়ী হতে পারে যখন তারা দুজনেই একে অপরের সত্যিকারের ভালোবাসতে পারেন।
মহিলারা খুব আবেগপ্রবণ হয়। এই কারণেই একজন নারী পুরো পরিবারকে বেঁধে রাখতে পারে। প্রতিটি দম্পতি চায় তাদের সম্পর্ক টিকে থাকুক এবং পরিবার ভালোভাবে গড়ে উঠুক। এমন পরিস্থিতিতে সবকিছু শুধু স্ত্রীর ওপর নির্ভর করে না। বরং স্বামীরও দায়িত্ব রয়ে যায়।
স্ত্রী একজন পেশাদার বা একজন গৃহনির্মাতা হোক না কেন, সে সব রকম পরিশ্রম করে। বাড়ি, পরিবার, সম্পর্ক, সন্তানদের প্রতি দায়িত্ব পালন করা। এমতাবস্থায়, স্বামী যদি স্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা না দেখায়, তাহলে স্ত্রী নিজেকে অবহেলিত মনে করতে শুরু করে।
বিবাহবিচ্ছেদ এবং ব্রেকআপের সমস্ত ক্ষেত্রে দেখা যায় যে এক মহিলা তখনই মনে করেন যে সে তার পরিবার এবং সম্পর্কের জন্য যতটা বিনিয়োগ করছে, সেই পরিবার থেকে তার যে সম্মান এবং স্থান পাওয়া উচিৎ ছিল, সে তা পাচ্ছে না।
তবে ডিভোর্স ও ব্রেকআপের ক্ষেত্রে যে সব সময় ছেলের দোষ থাকে তা নয়। অনেক সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যায় শুধুমাত্র মেয়ের দোষে।
সম্পর্ক ভাঙার আগেই লক্ষণগুলো বোঝা যায়:
যে কোনও মহিলা যখন সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চান, বিশেষ করে প্রেম-জীবন সম্পর্কিত বিষয়ে। সে প্রথমে কথা বলা বন্ধ করে দেয়। অভিযোগ করাও বন্ধ করে দেয়।সঙ্গীর কাছ থেকে সে কিছু চায় না। পুরোপুরি উপেক্ষা করতে শুরু করে।
এমন পরিস্থিতিতে তার দরকার সঙ্গীর সমর্থন, ও ভালোবাসা। যদি এই লক্ষণগুলি বুঝতে পারেন এবং সময়মতো পরিস্থিতি সামাল দেন, তবে সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার বদলে সেই সম্পর্ক শক্ত ভাবে মজবুত হবে।
No comments:
Post a Comment