উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে শায়িত হনুমানের মন্দির রয়েছে। এই মন্দির সম্পর্কে বলা হয় যে এই মন্দিরে বজরংবলীর দর্শন ছাড়া সঙ্গম স্নান অসম্পূর্ণ। এই মন্দিরের বিশেষত্ব কি? এর পেছনের রহস্য কী? জেনে নেওয়া যাক -
২০০ বছর আগে এক ধনী ব্যবসায়ী হনুমানের এই মূর্তিটি নৌকা সঙ্গমের তীরে আসলে হনুমানের মূর্তিটি পড়ে যায়। ওই ব্যবসায়ী মূর্তিটি তোলার জন্য সমস্ত চেষ্টা করলেও অসফল হন। রাতে তাকে এক রাতে স্বপ্নে বজরংবলী বলেন দেখালেন এবং বললেন যে তিনি এই সঙ্গমে থাকতে চান।
প্রয়াগরাজের সঙ্গমে থাকা বজরংবলী অনেক নামে পরিচিত। তাদের বলা হয় বড়ে হনুমান জি, ফোর্ট ওয়ালে হনুমান জি, লে হনুমান জি এবং ড্যাম ওয়ালে হনুমান জি। এখানে হনুমান মূর্তি মাটির নিচে শুয়ে আছে। আর তার হাতে বাহুতে অহিরাবন আর অন্য বাহুতে অন্য রাক্ষসকে ধারণ করছেন। কথিত আছে এটাই একমাত্র মন্দির যেখানে শায়িত হনুমান রয়েছে।
এই মূর্তির দৈর্ঘ্য প্রায় ২০ ফুট। মঙ্গলবার ও শনিবার হনুমান ভক্তদের ব্যাপক ভিড় থাকে। বিশ্বাস করা হয় যে গঙ্গার জল বজরংবলীকে স্পর্শ করে, তার পরে নেমে আসে। এটি এটি একটি সিদ্ধ মন্দির। এখানে কখনও কোনও ভক্তদের নিরাশ হয় না, সকল ইচ্ছে পূরণ হয়।
১৫৮২ সালে আকবর একবার যখন তার সাম্রাজ্য বিস্তারে ব্যস্ত ছিলেন, তখন তিনি এখানেও এসে একটি দুর্গ তৈরি করেছিলেন, আর আকবর হনুমানের এই মূর্তিকে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু মূর্তিটি তার স্থান থেকে সরেনি। কথিত আছে যে হনুমান আকবরকে এক স্বপ্নদেশ করেন এরপর আকবর এই কাজ বন্ধ করে চলে যান।
No comments:
Post a Comment