অতিরিক্ত চিন্তা, সঠিক সময় খাওয়া দাওয়া না করা এছাড়া নানা কারণে হার্ট ফেইলিউরের কারণে প্রচুর মৃত্যু ঘটে। এই কারণে ফিল্ম এবং টেলিভিশন জগতের যেমন বলিউড গায়ক কে কে, টিভি অভিনেতা সিদ্ধার্থ শুক্লা এই হৃদরোগের কারণে মৃত্যু হয়েছে। তাই হার্ট অ্যাটাক হলে আমাদের কী করা উচিৎ এবং কী কী সতর্কতা অবলম্বন করা উচিৎ তা জেনে নেওয়া যাক
হার্ট অ্যাটাক কি?
করোনারি ধমনীতে প্লাকের মতো উপাদান জমে যা রক্ত প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করে। এমন অবস্থায় হার্টে রক্ত পৌঁছয় না আর হার্ট অ্যাটাক হয়।
কী করণীয় :
প্রথমে রোগীর বুকের কেন্দ্রবিন্দুতে জোরে ধাক্কা দিতে হবে। রোগীকে চেতনায় আনতে, ১মিনিটে ১০০-১২০ বার চাপ দিতে হবে। তবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। এই প্রক্রিয়াকে বলা হয় সিপিআর, এই পদ্ধতি যদি সময়মতো অবলম্বন করা হয়, তাহলে রোগীর জীবন বাঁচানো যায়।
হার্টের রোগীর ভাজা ও মশলাদার খাবার, ফাস্ট ফুড, চর্বিযুক্ত খাবার, অ্যালকোহল এবং ধূমপান, লাল মাংস এবং প্রক্রিয়াজাত খাবারও এড়িয়ে চলতে হবে।
চিকিৎসা :
এনজিওপ্লাস্টি:
অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি বা বাইপাস সার্জারি সাধারণত হার্ট অ্যাটাকের পরে করা হয়।এঞ্জিওপ্লাস্টিতে, ব্লক করা রক্তনালীগুলি পরিষ্কার করা হয়। যার ফলে রক্ত জমাট বাঁধা দূর হয় এবং রক্ত চলাচল ঠিকমতো শুরু হয়।
করোনারি ধমনী স্টেন্ট:
অনেক সময় এনজিওপ্লাস্টির পর করোনারি ধমনীতে স্টেন্ট ঢোকানো হয়। এগুলি শিরাগুলির সংকীর্ণতা দূর করে, যার কারণে রক্ত প্রবাহ সঠিকভাবে শুরু হয়।
No comments:
Post a Comment