চীনা অনুসন্ধানকারী জাহাজ ইউয়ান ওয়াং ৫ প্রতিবেশী শ্রীলঙ্কার হাম্বানটোটা বন্দরে আসতে চলেছে।
এই বিষযয়ে আপত্তি জানিয়ে আমাদের দেশ চীনা এই জাহাজটিকে তার নিজের বন্দরে থাকতে বলে। কিন্তু শ্রীলঙ্কা এই অনুরোধ উপেক্ষা করে চীনা জাহাজটিকে তার নিজের বন্দরে থাকার অনুমতি দিয়েছে।
আসলে এই চীনা জাহাজে শক্তিশালী অ্যান্টেনা রয়েছে যা কৌশলগত এবং সামরিক ঘাঁটিতে গুপ্তচরবৃত্তি করতে যথেষ্ট সক্ষম। ভারতের আশঙ্কা, এই জাহাজের সাহায্যে চীন ভারতের সামরিক ঘাঁটির তথ্য সংগ্রহ করতে পারে। যা ভারতের নিরাপত্তা নীতির দৃষ্টিকোণ থেকে নিরাপদ নয়। আপাতত পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে ভারত।
জল্পনা ছিল যে চীনা গুপ্তচর জাহাজ ১১ আগস্ট শ্রীলঙ্কার হাম্বানটোটা বন্দরে পৌঁছবে। বলা হচ্ছে, এই চীনা গুপ্তচর জাহাজটি এক সপ্তাহ আরব সাগরে অবস্থান করে গুপ্তচরবৃত্তি করবে।
অন্যদিকে, চীন বলেছে যে তার উদ্দেশ্য কেবল সমুদ্র চোরাকারবারিদের মোকাবেলা করা। তবে চীনের দাবিতে সন্তুষ্ট নন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা। এর আগেও চীন এমন কাজ করে আসছে।
এর একটি কারণ হল, চীন অনেক সময় সামুদ্রিক এলাকায় তার মালিকানা দাবি করে আসছে, যার জন্য তারা প্রতিদিনই এ ধরনের সামরিক পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারত মহাসাগরে লুকিয়ে থাকা তেল ও গ্যাসের মতো প্রাকৃতিক সম্পদের ওপরও নজর রাখছে চীন।
No comments:
Post a Comment