মধ্যপ্রদেশের ছত্তিশগড়ে একদল বন্য হাতির তাণ্ডবের কারণে, গ্রামবাসী এবং হাতির মধ্যে সংঘর্ষের পরিস্থিতি শুরু হয়েছে। এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় ড্রোনের সাহায্য নেওয়া হবে বলে জানা গেছে। এর পেছনে উদ্দেশ্য হল ড্রোনের মাধ্যমে বন্য হাতির গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে গ্রামবাসীদের আগেই সতর্ক করা। এসব সমস্যা মোকাবিলায় গঠিত কোর কমিটিকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
বলা হয়েছে, ওই এলাকায় পরীক্ষামূলকভাবে গ্রামের বাইরে হাতি প্রুফ ট্রেঞ্চ বা এলিফ্যান্ট প্রুফ সোলার বেড়ার ব্যবস্থা করা হবে। হাতির করিডোরের পাশে অবস্থিত গ্রামে মৌমাছি পালনও করা হবে, যাতে হাতিদের ওইসব গ্রামে যাওয়া বন্ধ করা যায়।
এছাড়া ২০০থেকে ৩০০ হেক্টর বনাঞ্চলে হাতিদের জন্য বিশেষ আবাস তৈরি করা হবে, যাতে হাতিরা খাবার বা জলের সন্ধানে গ্রামে না আসে। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (গ্রামীণ) এ একটি বিশেষ প্রকল্প অনুমোদন করে হাতি প্রভাবিত এলাকায় অবস্থিত কচ্ছা বাড়ির জন্য পাকা বাড়িগুলি অনুমোদন করার পরিকল্পনাও রয়েছে। সঞ্জয় টাইগার রিজার্ভ, বান্ধবগড় টাইগার রিজার্ভ, মুকুন্দপুর চিড়িয়াখানা এবং জবলপুরে র্যাপিড রেসপন্স টিম হিসেবে রেসকিউ স্কোয়াড গঠন করা হবে।
পাশাপাশি হাতী মিত্র দল গঠন করে সদস্যদের সক্রিয় সহযোগিতা নিতে লাউডস্পিকার, মশাল, পটকা, ইউনিফর্ম ইত্যাদির ব্যবস্থা করে বন বিভাগের আধিকারিক , কর্মচারী ও স্থানীয় জনসাধারণের মধ্যে উন্নত সমন্বয় এবং বিভিন্ন স্তরে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করা হচ্ছে।
গ্রামবাসীদের সচেতন করার জন্য একটি বিশেষ অভিযান চালানো হবে।
No comments:
Post a Comment