কলকাতার চলচ্চিত্র নির্মাতা ইন্দ্রনীল বন্দ্যোপাধ্যায় তার পরবর্তী ছবির জন্য প্রস্তুত যা একটি আকর্ষণীয় থ্রিলার। আশিস পাঠক, ঋদ্ধিমান খান এবং সায়ন্তনী মুখোপাধ্যায় মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছেন একটি সিনফুল স্টোরি একটি পরীক্ষামূলক নীরব থ্রিলার।
গল্প শুরু হয় নির্জন জায়গায়। ভোরের দিকে রহস্যজনকভাবে পার্ক করা একটি গাড়ি আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। ঘনিষ্ঠভাবে আমরা গাড়ির ভিতরে একটি মৃত মেয়ের দেহ দেখতে পাই। পন্ডিতজী হাতে লণ্ঠন আর ছাতা নিয়ে কর্দমাক্ত পথ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন। সে গাড়ির দিকে উঁকি মেরে চলে যায়। এদিকে একটি থানায় জিডি করতে দেখা যায় এক পুলিশ কর্মকর্তার পেটুক। যে লোকটি রিপোর্টটি ফাইল করতে এসেছে তার প্রতি তিনি মাঝে মাঝে পরামর্শ এবং সহানুভূতি সহ একটি বিশদ প্রতিবেদন লিখছেন বলে মনে হচ্ছে। একজন বৃদ্ধকে পুলিশ ইন্সপেক্টরের সামনে বসে অস্থিরভাবে কাঁদতে দেখা যায়। এরপরে যা ঘটে তা গল্পের মূল গঠন করে।
একটি সিনফুল স্টোরি হল ভারতের প্রথম নীরব মিনি-সিরিজ এবং এটিকে তিনটি বিভাগে বিভক্ত করা হয়েছে ধর্ম কার্তব্য এবং কর্ম। ক্লাইম্যাক্সে আমরা বুঝতে পারি যে তিনটি অংশের মধ্যে একটি সংযোগ রয়েছে এবং এটি দর্শকদের ফাঁক করে দেয় এবং তাদের কল্পনাকে বন্য করে তোলে। থ্রিলারটির স্বতন্ত্রতা সম্পর্কে তার চিন্তাভাবনা শেয়ার করে ইন্দ্রনীল ব্যাখ্যা করেছেন একজন চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসাবে আমি সবসময় সৃজনশীল চ্যালেঞ্জিং পুরস্কারপ্রাপ্ত এবং প্রবণতামূলক চলচ্চিত্র করি। যেমন ভারতের প্রথম হরর মিনি-সিরিজ কলকাতার প্রথম সিটকম। এইবার আমি ফিরে এসেছি। আমার প্রিয় ঘরানার থ্রিলার। আমি আমার প্রযোজক মৈত্রয়ী দে কে যথেষ্ট ধন্যবাদ জানাতে পারি না যিনি আমাকে আমার মিনি-সিরিজটি বিশ্বব্যাপী দর্শকদের কাছে দেখানোর এই সুযোগ দিয়েছেন। ধারণাটি তুহিন দাশগুপ্তের।
এই সিরিজের চিত্রনাট্যকার এবং এটি আমার দ্বারা লেখা এবং চিত্রনাট্য করা হয়েছে। নিশ্চয়ই এটা একটা বিশাল প্রভাব ফেলবে। আমি বাছাই করেছি মাত্র ৩ জন শিল্পী আশিস পাঠক এবং ঋদ্ধিমান খান যারা বাংলা ডেইলি সোপ-এ নিয়মিত মুখ এবং সবশেষে সায়ন্তনী মুখার্জি যিনি একজন নতুন মুখ।
No comments:
Post a Comment