সুনাসির নাথ মন্দির উত্তরপ্রদেশের হারদোই জেলা সদর থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার দূরে মাল্লাওয়ান এলাকায় অবস্থিত একটি শিবলিঙ্গ রয়েছে। এখানে ভগবান শিব সুনাসির নাথ নামে পরিচিত। এই মন্দিরটি শত বছরের পুরনো বলে জানা যায়।
এই মন্দিরের শিবলিঙ্গটি ইন্দ্রদেব প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। প্রতি বছর মহাশিবরাত্রি ও শ্রাবন মাসে এখানে প্রচুর ভক্তের সমাগম হয়। মল্লবনে অবস্থিত এই মন্দিরটিকে ছোট কাশীও বলা হয়।
আওরঙ্গজেব দুশত বছরের পুরনো সুনাসির নাথ শিব মন্দিরের শিবলিঙ্গে ধ্বংস করার অনেক চেষ্টা করেছিলেন। সেই করাতের চিহ্ন এখনও শিবলিঙ্গে রয়েছে।
সুনাসির নাথ মন্দির থেকে ডাকাতরা মাটিতে থাকা ২ কুইন্টাল সোনার কলস লুট করে নিয়ে যায়। ছোট কাশী নামক মন্দিরটি মুঘল আমলের ভাঙচুরের সাক্ষী।
অতীতে এই মন্দিরে সোনার কলস, দরজা এবং গিনি ছিল, কিন্তু ১৬ শতকে, মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেব মন্দিরের সোনা লুট করার জন্য আক্রমণ করেছিলেন। কিন্তু আওরঙ্গজেবের আক্রমণের খবর পেয়ে গৌরখেদাবাসীরা তার সঙ্গে যুদ্ধ করে।
তবে আওরঙ্গজেবের ভারী সৈন্যবাহিনীর সামনে তারা বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি আর তারা পরাজয়ের সম্মুখীন হতে হয়। এর পরে, আওরঙ্গজেব এবং তার সৈন্যরা মন্দিরের দুটি সোনার কলস, মেঝেতে জড়ানো সোনার মুদ্রা এবং সোনার ঘণ্টা এবং দরজা লুট করে নিয়ে যায়।
আওরঙ্গজেব সোনা ও গিনি লুট করার পর তাঁর সৈন্যদের শিবলিঙ্গটি খনন করে উচ্ছেদ করার নির্দেশ দেন, তখন সৈন্যরা শিবলিঙ্গ উপড়ে ফেলার জন্য খনন শুরু করলে শিবলিঙ্গের গভীরতা ও আকার বাড়তে থাকে। সৈন্যদের ব্যর্থ হতে দেখে তিনি শিবলিঙ্গ কেটে ফেলার আদেশ দেন।
সৈন্যরা শিবলিঙ্গ কাটতে শুরু করলেই শিবলিঙ্গ থেকে দুধ বইতে শুরু করে। শুধু তাই নয়, সেই শিবলিঙ্গ থেকে অসংখ্য বড়াই বেরিয়ে এসে সৈন্যদের আক্রমণ করে। এরাই পুরো সেনাবাহিনীকে তাড়িয়ে দিয়েছিল। তারপর অনেক কষ্টে কোনরকমে সেনাবাহিনী ও আওরঙ্গজেব তার জীবন রক্ষা করেছিলেন।
No comments:
Post a Comment