এই মন্দিরের শিবলিঙ্গ অলৌকিক ভাবে আকারে বাড়ছে - Breaking Bangla |breakingbangla.com | Only breaking | Breaking Bengali News Portal From Kolkata |

Breaking

Post Top Ad

Sunday 12 June 2022

এই মন্দিরের শিবলিঙ্গ অলৌকিক ভাবে আকারে বাড়ছে



 উত্তরপ্রদেশের হামিরপুরে এমনই একটি মহাদেবের রয়েছে, যেখানে চন্দন গাছ নিজেরাই জন্মায়।  এই মন্দিরটি সিংহমহেশ্বর মহাদেব মন্দির নামে পরিচিত।  মন্দিরের মহন্ত ভারত দাসের মতে, তাঁর গুরু নারায়ণ দাস প্রায় ৪০ বছর আগে এখানে একটি চন্দন গাছ লাগিয়েছিলেন।  সেই থেকে এখানে চন্দন গাছ জন্মানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়, যা আজও অব্যাহত রয়েছে।  আজ এই মন্দির এলাকায় প্রায় অর্ধশত চন্দন গাছ উঠেছে।


  মহাদেব ও মা পার্বতী এই চন্দনে শোভিত।  এই মন্দিরের অলৌকিক কাজের খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছে বহুদূরে।  সমস্ত ভক্তরা এখানে মহাদেব এবং মা পার্বতীর দর্শন পেতে এবং চন্দন গাছ দেখতে আসেন।


 প্রতি বছর শিবলিঙ্গ বাড়তে থাকে:


 সিংহমহেশ্বর মহাদেব মন্দিরটি হামিরপুর জেলা সদর থেকে মাত্র ৪ কিমি দূরে যমুনা নদীর তীরে অবস্থিত।  এই মন্দিরে দুটি শিবলিঙ্গ রয়েছে।  একটি শিব ও একটি পার্বতীকে বলা হয় শিবলিঙ্গ।  এখানে অবস্থিত শিবলিঙ্গের নাম পাটালি শিবলিঙ্গ।  ইতিহাসবিদ ভবানী দীনের মতে, এই ধামে উপস্থিত উভয় শিবলিঙ্গই গুপ্ত শিবলিঙ্গ, যেগুলি নিজ থেকে মাটি থেকে বেরিয়ে এসেছে এবং এই শিবলিঙ্গ অমূল্য পাথর দিয়ে তৈরি।  তাদের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হল এই শিবলিঙ্গগুলির আকার প্রতি বছর ধানের মতো বৃদ্ধি পায়।


মন্দিরের এই গল্প:


 সিংহমহেশ্বর মহাদেব মন্দির নিয়েও একটি গল্প আছে।  এই কাহিনি অনুসারে কথিত আছে যে, এখানে যমুনা নদীর বন্যার কারণে কিছু সাধু এই শিবলিঙ্গগুলিকে অন্য জায়গায় স্থাপনের কথা ভেবেছিল।  এ জন্য খনন কাজও শুরু হয়।  কয়েক মিটার খনন করেও শিবলিঙ্গের শেষ না পাওয়ায় সাধু ও গ্রামবাসী হাল ছেড়ে দেয়।  এরপর একই স্থানে শিবলিঙ্গের পূজো শুরু হয় এবং মন্দিরটি নতুন করে নির্মিত হয়।  কথিত আছে যে, এই মন্দিরে যদি আন্তরিক চিত্তে কিছু চাওয়া হয়, তবে মনের ইচ্ছা পূরণ হয়।


 এই সময়ে এই মন্দিরের চারপাশে প্রায় অর্ধশত চন্দন গাছ রয়েছে বলে জানা যায়।  কখন এবং কীভাবে এই গাছগুলি নিজেরাই বেড়ে ওঠে, কেউ সে সম্পর্কেও জানে না।  এই গাছগুলো যখন বড় হয়, তখন এই গাছগুলো চেনা যায়।


 এ কারণে গত ২৫ বছরে এখান থেকে প্রায় ১৮টি মূল্যবান চন্দন গাছ চুরি হয়েছে।  চুরি যাওয়া এসব গাছ আজ পর্যন্ত উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।  এখানকার মহন্ত বিশ্বাস করেন যে মন্দিরে বেড়ে ওঠা সমস্ত চন্দন গাছ সিংহমহেশ্বর বাবার আশীর্বাদে এই এলাকায় রয়েছে।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad