পাঞ্জাবি গায়ক সিধু মুসেওয়ালা হত্যা মামলার মহারাষ্ট্রের সংযোগ এখন মুম্বাই আন্ডারওয়ার্ল্ড ডনের সাথে যুক্ত হয়েছে। এই ঘটনায় সামনে আসছে গ্যাংস্টার অরুণ গাওলি ওরফে ড্যাডির নাম। পাঞ্জাব পুলিশ যে আট শার্প শুটারকে চিহ্নিত করেছে, তাদের মধ্যে একজন সন্তোষ যাদব।
যাদব পুনের বাসিন্দা এবং বলা হয় গাওলি গ্যাংয়ের একজন কর্মী। পাঞ্জাব পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সন্তোষ যাদবকে বিশেষভাবে মুম্বই থেকে ডাকা হয়েছিল। ২৯শে মে বিকেল ৫.৩০ মিনিটে সিধু মুসেওয়ালাকে চল্লিশ রাউন্ড বুলেটে গুলি করে হত্যা করা হয়। মুসেওয়ালার শরীরে ১৯টি ক্ষত পাওয়া গেছে।
সন্তোষ যাদবের পাশাপাশি মহারাষ্ট্র থেকে সৌরভ মহাকালকেও পাঞ্জাবের মানসা এলাকায় ডাকা হয়েছিল। এই বিষয়ে আরও তদন্তের জন্য পাঞ্জাব পুলিশ মহারাষ্ট্র এবং মুম্বাই পুলিশের সাহায্য চেয়েছে। ডন অরুণ গাওলি বর্তমানে জেলে।
ডন অরুণ গাওলিকে ৯০-এর দশকে মুম্বাই আন্ডারওয়ার্ল্ডে সুপারি রাজা বলা হতো। সাদা টুপি ও সাদা কুর্তা পরা গাওলির আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিমের সঙ্গে বিবাদ লেগেই থাকতো। বলা হয় যে অরুণ গাওলি দাউদ ইব্রাহিমের বোনজামাইকে শ্যুটারের হাতে খুন করেছিলেন।
১৯৯০ সালে মুম্বাইয়ে গ্যাং ওয়ার চলাকালীন দাউদ ইব্রাহিম এবং ছোটা রাজনের মতো ডনরা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু গাওলি মুম্বাইতেই থেকে যান।
গ্যাংস্টার রমা নায়েক ১৯৮৮ সালে মুম্বাইতে একটি পুলিশ এনকাউন্টারে নিহত হন। এর পর গাওলির হাতে নায়েক গ্যাংয়ের কমান্ড আসে। রমা নায়েকের এনকাউন্টার দাউদই করেছে বলে সন্দেহ গাওলির। এরপর অরুণ গাওলি এবং দাউদ ইব্রাহিমের গ্যাং ওয়ার আরও তীব্র হয়।
অন্যদিকে, দাউদ দুবাই হয়ে করাচিতে যান, যেখানে অরুণ গাওলি অখিল ভারতীয় সেনা নামে তার নিজস্ব রাজনৈতিক দল গঠন করেন। বলা হচ্ছে, এর আগে গাওলি শিবসেনায় যোগ দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তৎকালীন শিবসেনা প্রধান বালাসাহেব ঠাকরে তাঁকে দলে গ্রহণ করতে অস্বীকার করেছিলেন। গাওলি মুম্বাইয়ের চিঞ্চপোকলি এলাকা থেকে ২০০৪ সালের নির্বাচনে জিতেছিলেন।
No comments:
Post a Comment