জ্ঞানবাপী বিরোধ মামলায়, জমিয়ত উলামায়ে হিন্দ আজ দুদিনের বৈঠক ডেকেছে। তথ্য অনুযায়ী, উত্তরপ্রদেশের দেওবন্দে এই বৈঠকের আয়োজন করা হবে যাতে অংশ নিতে পারেন ৫ হাজার মুসলিম বুদ্ধিজীবী। এই বৈঠকের উদ্দেশ্য জ্ঞানবাপী ইস্যু থেকে শুরু করে কুতুব মিনারের মতো স্মৃতিস্তম্ভগুলি নিয়ে আলোচনা করা।
সকলের দৃষ্টি এই অনুষ্ঠানের দিকে থাকবে কারণ এতে সারা দেশ থেকে হাজার হাজার জমিয়ত কর্মকর্তা-কর্মী অংশগ্রহণ করবেন। জমিয়ত-উলেমা-ই-হিন্দ মুসলমানদের অন্যতম বৃহত্তম সংগঠন এবং এই সংগঠনের বর্তমান সভাপতি মাহমুদ মাদানী। মাহমুদ মাদানি রাজ্যসভার সাংসদও হয়েছেন।
দেশের কট্টরপন্থী সংগঠন পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া অর্থাৎ পিএফআইও এ বিষয়ে এন্ট্রি নিয়েছে। পিএফআই সারা দেশের মুসলমানদের এই বিরোধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। এ জন্য ইসলামী সংগঠনের পক্ষ থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার জাতীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের একটি সভা ২৩ এবং ২৪ মে পুত্থাননিতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। যেখানে মন্দির-মসজিদ বিরোধ নিয়ে আলোচনা হয়। সভায় একটি প্রস্তাব পাস করে সারাদেশের মুসলমানদের প্রতি এ আবেদন জানানো হয়।
সভায় বলা হয়েছে যে জ্ঞানবাপি মসজিদ এবং মথুরা শাহী ইদগাহ মসজিদের বিরুদ্ধে সংঘ পরিবার সংগঠনগুলির সাম্প্রতিক অসৎ উদ্দেশ্যমূলক আবেদনগুলি সম্পূর্ণরূপে উপাসনা স্থান আইন, ১৯৯১ এর বিরুদ্ধে এবং আদালতের অনুমতি দেওয়া উচিৎ হয়নি।
সোমবার ফাস্ট ট্র্যাক আদালতে এই আবেদনের শুনানি হবে
জ্ঞানবাপী মসজিদ হিন্দুদের কাছে হস্তান্তর এবং উপাসনা চাওয়ার জন্য দায়ের করা আবেদনের শুনানির সময়, সিভিল জজ সিনিয়র ডিভিশনের আদালত এটি দ্রুত ট্র্যাক আদালতে স্থানান্তরিত করে। এরপর আগামী ৩০ মে ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে শুনানি হবে।
এই বিষয়টি ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে যাওয়ার পরে, বিশেষ মুসলিম পক্ষকে একটি নোটিশ জারি করা হবে এবং এই বিষয়ে তাদের পক্ষ জিজ্ঞাসা করা হবে, তারপরে মুসলিম পক্ষও আদালতের সামনে তাদের বক্তব্য রাখবে। এখন এই গোটা মামলার শুনানি হবে ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে।
বারাণসী জেলা আদালতে পরবর্তী শুনানিও হওয়ার কথা সোমবার। শুক্রবার এ বিষয়ে শুনানিতে জরিপ প্রতিবেদন ও ভিডিওগ্রাফি প্রকাশ করা হবে কিনা তা দেখা হয়। এ বিষয়ে হিন্দু ও মুসলিম উভয় পক্ষের মতামত ভিন্ন ছিল। আগামী ৩০ মে উভয় পক্ষের কাছে সমীক্ষা ও ভিডিওগ্রাফি প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।
No comments:
Post a Comment