৪ এপ্রিল জন্মদিনের পার্টিতে মদ্যপান করে এক নাবালিকাকে গণধর্ষণ এবং পরদিন তার মৃত্যুর ঘটনা প্রকাশ্যে আসে বাংলার নদীয়া জেলার হাঁসখালিতে। হাইকোর্টের নির্দেশে মামলার তদন্ত করছে সিবিআই।
রাজ্যে ক্রমাগত ধর্ষণের ঘটনার পর কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে হাঁসখালি ধর্ষণ মামলার তদন্ত করছে সিবিআই। বাংলার নদীয়া জেলার হাঁসখালিতে এক নাবালিকাকে গণধর্ষণ এবং পরবর্তীতে মৃত্যুর ঘটনায় রাজ্য পুলিশের ভূমিকা সন্দেহজনক। সিবিআই সন্দেহ করছে, ঘটনার তথ্য মুছে ফেলতে পুলিশও জড়িত।
এ ব্যাপারে তদন্তকারী দল স্থানীয় থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক ও গ্রামের সিভিক ভলান্টিয়ার ও গ্রামীণ পুলিশ সদস্যদের ডেকে দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। বাংলার নদীয়া জেলার হাঁসখালিতে ৪ এপ্রিল জন্মদিনের পার্টিতে মদ্যপান করে এক নাবালিকাকে গণধর্ষণ এবং পরদিন তার মৃত্যুর ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। হাইকোর্টের নির্দেশে মামলার তদন্ত করছে সিবিআই।
সিবিআই-এর প্রশ্ন চার দিন পেরিয়ে গেলেও কেন পুলিশ ঘটনার কথা জানতে পারেনি? চাইল্ডলাইনে ঘটনাটি জানতে পারলেও স্থানীয় পুলিশ খবর পায়নি? শাসক দলের একাংশের চাপে পুলিশ কি ইচ্ছাকৃতভাবে চুপ ছিল? নাকি কিছু পুলিশ সদস্য সরাসরি এই প্রমাণ নষ্ট করার সাথে জড়িত?
সিবিআই গতকাল গ্রামের একজন নাগরিক স্বেচ্ছাসেবক রাজু বিশ্বাস এবং গ্রাম পঞ্চায়েতের গ্রামীণ পুলিশ কর্মী গোবিন্দ ঢালিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কৃষ্ণনগরের ক্যাপে ডেকেছিল। রাজু স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য চঞ্চল বিশ্বাসের কাকাতো ভাই এবং গোবিন্দ ঢালী প্রধান অভিযুক্ত ব্রজ গায়ালীর কাকাতো ভাই।
ব্রজ গায়ালি স্থানীয় টিএমসি নেতা সমরেন্দু গায়ালীর ছেলে। তাদের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে সিবিআই। এছাড়াও সিবিআই আধিকারিকরা তিনজন মিডিয়া প্রতিনিধিকে ক্যাম্পে ডেকে তাদের কাছ থেকে কিছু তথ্য সংগ্রহ করেন। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সংবাদমাধ্যমের কোনও কোনও মহল।
বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং দল একটি নাবালিকা মেয়েকে ধর্ষণ ও পুড়িয়ে মারার অভিযোগে গ্রামে পরিদর্শন করে। দলের সদস্যরা জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করেছেন। দলে ছিলেন দলের সহ-সভাপতি রেখা ভার্মা, বিজেপি মহিলা মোর্চার জাতীয় সভাপতি বনথি শ্রীনিবাসন এবং বিধায়ক শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী।
এই দলটি বিজেপির জাতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার কাছে রিপোর্ট জমা দিয়েছে। কমিটি মহিলাদের উপর অত্যাচার এবং রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি দেখে রাজ্যে ৩৫৫ ধারা কার্যকর করার সুপারিশ করেছিল। এই দলটি পুলিশ এবং স্থানীয় টিএমসি নেতাদের মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল।
No comments:
Post a Comment