বৈশাখী পূর্ণিমায় পিপল গাছের পূজোকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এই দিনে পিপল সংক্রান্ত কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করলে দুর্ভাগ্যও সৌভাগ্যে পরিণত হতে পারে। পূর্ণিমাকে একটি অত্যন্ত শুভ দিন বলে মনে করা হয়। ১৬মে বৈশাখ মাসের পূর্ণিমা তিথি। এটি বৈশাখী পূর্ণিমা নামে পরিচিত। পূর্ণিমা তিথি ভগবান বিষ্ণুকে উৎসর্গ করা হয়। এই দিনে ভগবান বুদ্ধেরও পূজা করা হয়।
বুদ্ধ পূর্ণিমার দিনে, ভগবান বুদ্ধ একটি পবিত্র তীর্থস্থান বোধগয়ায় বোধিবৃক্ষের নীচে বোধি লাভ করেছিলেন। তাই এটি পিপল পূর্ণিমা নামেও পরিচিত। এই দিনে ভগবান বিষ্ণুর আরাধনা করার পর যদি কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়, তাহলে জীবনের সমস্ত ঝামেলার অবসান ঘটতে পারে।
দুর্ভাগ্য দূর করতে:
বৈশাখী পূর্ণিমার দিন যথার্থভাবে নারায়ণের পূজো করে পিপল গাছে জল অর্পণ করে খাঁটি ঘির প্রদীপ জ্বালান। সাতবার গাছের প্রদক্ষিণ করুন এবং প্রদক্ষিণের সময় নারায়ণ মন্ত্র জপ করতে থাকুন। এর পরে, দুর্ভাগ্য দূর করার জন্য প্রভুর কাছে প্রার্থনা করুন।
ধন পেতে:
পূর্ণিমার দিনে স্নান করার পরে, পিপলের ১১ টি পাতা নিয়ে গঙ্গাজল দিয়ে শুদ্ধ করে পাতায় লাল চন্দন দিয়ে শ্রী লিখুন। মালা বানিয়ে নারায়ণকে পরান। এতে নারায়ণ ও মাতা লক্ষ্মীর আশীর্বাদ পাওয়া যায় এবং অর্থ সংক্রান্ত সমস্যা দূর হয়।
শনি সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের জন্য:
পূর্ণিমার দিনে পিপল গাছের নিচে কুশের আসন রেখে দেশি ঘির প্রদীপ জ্বালান। ভগবান শ্রী রামকে স্মরণ করুন এবং তারপর ৭ বার হনুমান চালিসা পাঠ করুন। এতে করে শনি সংক্রান্ত দোষ-ত্রুটি কমে যায় এবং জীবনের অনেক সংকট কেটে যায়।
শান্তির জন্য নবগ্রহ:
নবগ্রহ শান্তির জন্য বৈশাখী পূর্ণিমায় ভোরে ঘুম থেকে উঠে, স্নান ইত্যাদি করে পিপল গাছের নিচে মাটি দিয়ে শিবলিঙ্গ তৈরি করে, শিবলিঙ্গের পূজা করুন এবং ওম নমঃ শিবায় মন্ত্র জপ করুন।
এছাড়াও নবগ্রহ শান্তি মন্ত্র 'ওম ব্রহ্মা মুরারি ত্রিপুরান্তকারি ভানু: শশী ভূমি সুতো বুদ্ধশ্চ, গুরুশ শুক্র শনি রাহু কেতব সর্বে গ্রহ শান্তি কারা ভবন্তু' জপ করুন। এতে করে নবগ্রহের অশুভ প্রভাব দূর হয় এবং জীবনে সৌভাগ্য বৃদ্ধি পায়।
No comments:
Post a Comment