ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় বাংলার উপকূলীয় এলাকায় প্রস্তুতি চলছে। উপকূলীয় জেলার প্রতিটি মহকুমা ও সদর দফতরে কন্ট্রোল রুম খোলা হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় ৫টি জরুরী প্রতিক্রিয়া দল প্রস্তুত রয়েছে।
আসানি' নামের একটি ঘূর্ণিঝড় আগামী ২৪ ঘণ্টায় আরও তীব্র হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়টি এখন বিশাখাপত্তনম থেকে ৯৪০ কিলোমিটার এবং ওড়িশার পুরী থেকে ১০০০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়টি ১০ মে রাজ্যে পৌঁছতে পারে বলে রাজ্যটি উচ্চ সতর্কতায় রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় বাংলার উপকূলীয় এলাকায় চলছে প্রস্তুতি। উপকূলীয় জেলার প্রতিটি মহকুমা ও সদর দফতরে কন্ট্রোল রুম খোলা হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় ৫টি জরুরী প্রতিক্রিয়া দল প্রস্তুত রয়েছে। এনডিআরএফ, এসডিআরএফ, কোস্টাল গার্ড এবং নৌবাহিনী সতর্ক রয়েছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের পরিপ্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার জেলা সফর স্থগিত করেছেন। টিএমসি সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন যে 'আসানি' ঝড়ের পরিপ্রেক্ষিতে, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামে সিএম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ৩ দিনের কর্মসূচি ১০,১১ এবং ১২ মে থেকে ১৭, ১৮এবং ১৯ মে পর্যন্ত পুনঃনির্ধারিত করা হয়েছে।
আইএমডি জানিয়েছেন যে মঙ্গলবার থেকে ওড়িশার উপকূলীয় জেলা এবং পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতা সহ রাজ্যের দক্ষিণাঞ্চলে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
মৎস্যজীবীদের ১০ মে থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সাগরে এবং পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশা উপকূলে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আবহাওয়া দফতরের মতে, ওড়িশা উপকূল বরাবর সমুদ্রের অবস্থা ৯ মে রুক্ষ এবং ১০ মে খুব রুক্ষ হয়ে উঠবে। ১০ মে সমুদ্রে বাতাসের গতিবেগ ঘন্টায় ৮০ থেকে ৯০ কিলোমিটারে বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।
No comments:
Post a Comment