মুম্বইয়ে আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিমের ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের ২০ টিরও বেশি জায়গায় অভিযান চালায়। সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, শার্প শুটার, চোরাকারবারিরা ২০টি ঘাঁটির সঙ্গে জড়িত। এ ছাড়া অনেক অপারেটরেও অভিযান চালানো হয়েছে।
বলা হচ্ছে এই মুহূর্তে ঘাঁটিতে এনআইএ-এর তৎপরতা চলছে। মুম্বইয়ের নাগপাদা, গোরেগাঁও, বোরিভালি, সান্তাক্রুজ, মুম্বরা, ভেন্ডি বাজারে অভিযান শুরু হয়েছে। অনেক হ্যান্ডওভার অপারেটর, মাদক চোরাকারবারী এবং দাউদের সাথে জড়িত এমন অনেক লোক রয়েছে।
বলা হচ্ছে যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশে,এনআইএ দাউদ এবং ডি কোম্পানির বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছে, যার জন্য তদন্ত এবং অভিযান চলছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, এনআইএ শুধুমাত্র দাউদ এবং ডি কোম্পানির বিরুদ্ধেই নয়, ছোটা শাকিল, জাভেদ চিকনা, টাইগার মেনন, দাউদের বোন হাসিব পারকার (মৃত) সংক্রান্ত কার্যকলাপের বিষয়েও ব্যবস্থা নেবে।
এনআইএ-র মতে, দাউদ ছোটা শাকিল, জাভেদ চিকনা, ইকবাল মির্চি এবং অন্যান্যদের সাথে ভারতের অনেক জায়গায় তার নেটওয়ার্ক তৈরি করেছিল। প্রভাবশালী, ব্যবসায়ীকে টার্গেট করত এসব লোকজন। এনআইএ কর্মকর্তারা বলেছেন যে দেশ জুড়ে বেশ কয়েকটি দেশবিরোধী কার্যকলাপে দাউদের জড়িত থাকার বিষয়ে আগে তথ্য ভাগ করা হয়েছিল।
পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই তার দলকে মুম্বাইয়ে সন্ত্রাস করার জন্য ব্যবহার করে এবং বিনিময়ে দাউদকে করাচিতে আশ্রয় দেয়।মুম্বাই ১২ মার্চ, ১৯৯৩ সালের কালো তারিখ কখনো ভুলতে পারে না। একের পর এক ১৩টি বোমা বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে শহর। ২৫৭ জন প্রাণ হারিয়েছে এবং ৭৫০ জন আহত হয়েছে।
দাউদ ইব্রাহিম বর্তমানে পাকিস্তানে লুকিয়ে আছেন। বলা হচ্ছে, দাউদ করাচির পশ এলাকায় থাকেন এবং প্রতিদিন দাউদ তার অবস্থান পরিবর্তন করেন।
No comments:
Post a Comment