রাজ্য আলু উৎপাদনের দিক থেকে শীর্ষস্থানীয় রাজ্য হওয়া সত্ত্বেও রাজ্যে আলুর দাম ক্রমাগত বাড়ছে। গত এক মাসে আলুর দাম বেড়েছে ১৫ টাকা।
রাজ্যে গত এক মাসে আলুর দাম ব্যাপকভাবে বেড়েছে। বাজারে চন্দ্রমুখী আলু বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা কেজি, জ্যোতি আলু বিক্রি হচ্ছে ২৮ টাকা কেজি। গত এক মাসে আলুর দাম বেড়েছে প্রায় ১৫ টাকা। সরবরাহ কম হওয়ায় আলুর দাম বেড়েছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। বর্ধিত দামে পাইকারি বাজার থেকে আলু কিনতে হচ্ছে। এ কারণে দাম বাড়ছে।
পাইকারি বাজারে ৫০ কেজির বস্তা ১২০০ টাকায় বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারি বাজার থেকে খুচরা বাজারে আলু এনে তা নষ্ট করা হয়। এ কারণে খুচরা বাজারে দাম বেড়েছে।
মানিকতলা বাজারে চন্দ্রমুখী আলুর দাম কেজি প্রতি ৪৫ টাকা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, খুচরো বাজারে এক বস্তা আলুর দাম ১৯০০ টাকা। অর্থাৎ পাইকারি বাজারে যে আলু কেজি প্রতি ৩৮ টাকা, তা খুচরো বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকায়।
চাল, ডাল, তেল, শাকসবজি এসব জিনিসের দাম প্রতিনিয়ত বাড়লেও আলুর দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়ায় এবার আলুও হয়তো জনগণকে কষ্ট দেবে বলে আশঙ্কা রয়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, পশ্চিমবঙ্গ ও পাঞ্জাবে আলুর উৎপাদন কম হওয়ায় এবং উত্তরপ্রদেশে আলুর মানের নিম্নমানের কারণে এ বছর দামি আলুতে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন সাধারণ মানুষ।
এ বছর আলু মজুত হয়েছে ১৬ থেকে ১৮ টাকা কেজি, যেখানে গত বছর মজুত ছিল ১৪-১৫ টাকা কেজি। স্টোরেজ কম থাকায় দাম বাড়তে পারে।
হিমাগারে আলু ভর্তির সময় প্রচণ্ড গরমে অনেক আলু নষ্ট হচ্ছে। ছাঁটাইয়ের সময় প্রচুর আলু নষ্ট হচ্ছে। তবে ভালো দামও নির্ভর করবে খরিফ মৌসুমে আলুর উৎপাদনের ওপর। দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো দেশীয় এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ১০০০ ছাড়িয়েছে। কলকাতায় ১৪.২ কেজি সিলিন্ডারের দাম এখন ১০২৬ টাকা। একইসঙ্গে পেট্রোল-ডিজেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বৃদ্ধি এবং ভোজ্যতেলের দাম বেড়েছে।
No comments:
Post a Comment