শ্রীলঙ্কায় আকাশছোঁয়া মুদ্রাস্ফীতি এবং সহিংস জনতার বিক্ষোভের কারণে সোমবার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে পদত্যাগ করেছেন। ক্ষমতা বাঁচানোর পদক্ষেপ তার উপর পড়ে এবং একটি ভুলের কারণে প্রধানমন্ত্রী তার চেয়ার হারান। আসলে, সোমবার সকালে শ্রীলঙ্কার বাণিজ্যিক রাজধানী কলম্বোতে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে শত শত প্রধানমন্ত্রী সমর্থক জড়ো হয়েছিল। এই বৈঠকে সমর্থকরা চেয়েছিলেন, প্রধানমন্ত্রী যেন পদত্যাগ না করেন।
রয়টার্সের মতে, কিন্তু এক ঘণ্টারও কম সময় পরে, প্রধানমন্ত্রীর সমর্থনে আসা কিছু জনতা লোহার রড দিয়ে শহর ভাঙচুর করে এবং সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীদের মারধর করে। এতে ক্ষমতাসীন দলের সাংসদ অমরকীর্তি আঠুকোরলা এক যুবককে গুলি করে মেরে ফেলেন পরে নিজেকেও গুলি মারেন।
যেখানে মনে করা হচ্ছিল এই বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর অবস্থান আরও মজবুত হবে। একই সময়ে, ক্ষমতাসীন শ্রীলঙ্কা পোডুজানা পেরামুনা (এসএলপিপি) আয়োজিত বৈঠকটি প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের কারণ হয়ে ওঠে। এর আগেই সহিংসতা ও বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে পদত্যাগ করেন।
শ্রীলঙ্কা ১৯৪৮ সালে স্বাধীনতার পর থেকে সবচেয়ে খারাপ অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলায় সরকারের ব্যর্থতা নিয়ে জনমনে ব্যাপক ক্ষোভ বিরাজ করছে এবং জনগণ রাজপথে সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছে।
অর্থনৈতিক মন্দার কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে মানুষকে। এ ছাড়া দেশে খাদ্য, ওষুধ ও জ্বালানি সংকট দেখা দিয়েছে। একই সঙ্গে তেলের ঘাটতির কারণে ব্যাপক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
No comments:
Post a Comment