শ্রীলঙ্কায় নবনিযুক্ত প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ জারী

শ্রীলঙ্কায় চলমান সংকটের মধ্যে নতুন প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে শপথ নিলেন, কিন্তু তার বিরুদ্ধেও বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় নেমে এসেছে।   বিক্ষোভকারীরা বলে যে রনিল বিক্রমাসিংহে রাজাপাকসে পরিবারের ঘনিষ্ঠ এবং তারা অতীতেও একে অপরকে রক্ষা করে আসছেন।   রনিল বিক্রমাসিংহের নিয়োগ মেনে নেওয়া যায় না।

 শ্রীলঙ্কার বিরোধীদলীয় নেতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে দেশের অবনতিশীল অর্থনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল করতে বৃহস্পতিবার অর্থাৎ বৃহস্পতিবার দেশের ২৬তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন।

 কয়েকদিন আগে দেশের অর্থনৈতিক অবনতির পরিপ্রেক্ষিতে সহিংস সংঘর্ষের পর প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করতে হয় মাহিন্দা রাজাপাকসেকে।  ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টির (ইউএনপি) নেতা ৭৩ বছর বয়সী বিক্রমাসিংহে রাষ্ট্রপতি গোটাবায়া রাজাপাকসের উপস্থিতিতে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে শপথ গ্রহণ করেন।

 এর আগে, অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলায় নতুন সরকার গঠনের বিষয়ে উভয়ের মধ্যেই ইন-ক্যামেরা আলোচনা হয়েছিল।  প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া নিজের এবং বিক্রমাসিংহের ছবি দিয়ে টুইট করে শ্রীলঙ্কার নবনিযুক্ত প্রধানমন্ত্রীকে  শুভেচ্ছা জানান।  

 সোমবার থেকে শ্রীলঙ্কায় কোনও সরকার ছিল না।  গোটাবায়ার বড় ভাই ও প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে ওই দিনই পদত্যাগ করেন।  তার সমর্থকদের দ্বারা সরকার বিরোধী বিক্ষোভকারীদের উপর হামলার ফলে যে সহিংসতা শুরু হয়েছিল তার পরে তাকে পদত্যাগ করতে হয়েছিল। 

মাহিন্দাও বিক্রমাসিংহেকে অভিনন্দন জানিয়েছেন এবং বলেছেন যে এই কঠিন সময়ে তিনি তাঁর মঙ্গল কামনা করেন।  তিনি টুইট করেছেন যে নবনিযুক্ত প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন।

 তবে বিক্রমাসিংহেকে নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগের বিরোধিতা করছে অনেক মহল।  বিক্রমাসিংহে, যিনি শ্রীলঙ্কার চারবার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, ২০১৮ সালের অক্টোবরে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি মাইথ্রিপালা সিরিসেনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে অপসারণ করেছিলেন।  তবে মাত্র দুই মাস পর সিরিসেনা তাকে এই পদে পুনর্বহাল করেন।

 সংসদীয় রাজনীতিতে তার ৪৫ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে।  দেশের প্রাচীনতম দল ইউএনপি ২০২০ সালের সংসদ নির্বাচনে একটি আসনও জিততে পারেনি এবং ইউএনপির শক্ত ঘাঁটি কলম্বো থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী বিক্রমাসিংহেও হেরে যান। 

পরবর্তীতে গ্রস জাতীয় ভোটের ভিত্তিতে ইউএনপিকে দেওয়া জাতীয় তালিকার মাধ্যমে তিনি সংসদে পৌঁছাতে পারেন।  তাকে শ্রীলঙ্কার একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যিনি আন্তর্জাতিক সহযোগিতাও জোগাড় করতে পারেন।