বিয়ে করার আগে জীবনসঙ্গীর মধ্যে এই গুণ হওয়া জরুরী

 বলা হয় ভালো জীবনসঙ্গী পেলে পুরো জীবনটাই বদলে যায়।  কিন্তু জীবনসঙ্গী ভালো না থাকলে পুরো জীবন ভেঙে যায়।  অতএব, বিয়ে করার আগে চেহারার চেয়ে স্বামী বা স্ত্রীর আচরণ এবং আচার-অনুষ্ঠানের দিকে বেশি মনোযোগ দেওয়া উচিৎ।  যাতে বিবাহিত জীবন তার সাথে সুখী হয়। 

 জীবনসঙ্গী বেছে নেওয়ার আগে অবশ্যই ৪টি গুণের ওপর পরীক্ষা করে নিন।  আচার্য তার চাণক্য নীতি গ্রন্থে তাদের উল্লেখ করেছেন।  কী সেগুলো জেনে নিন

  ধৈর্য পরীক্ষা:

 জীবনে অনেক উত্থান-পতন আছে।  তাদের মুখোমুখি হওয়ার জন্য ধৈর্য খুব গুরুত্বপূর্ণ।  যে ব্যক্তি জীবনে ধৈর্য ধরতে জানে, তার পক্ষে কোনও পরিস্থিতির মুখোমুখি হওয়া কঠিন নয়।    তাই জীবনসঙ্গী হিসেবে কাউকে বেছে নেওয়ার আগে একবার দেখে নিন এর মধ্যে কতটা ধৈর্য আছে।

 কথোপকথন:

 বলা হয়ে থাকে ধনুক থেকে বের হওয়া তীর আর জিভ থেকে বের হওয়া কথা কখনো ফিরে আসে না।    তাই জীবনসঙ্গী বেছে নেওয়ার আগে নিশ্চিত হয়ে নিন যে তিনি কীভাবে কথা বলতে জানেন।  কখন কোথায় বলতে হবে, কত কথা বলতে হবে তা অবশ্যই জানতে হবে। 

  ইচ্ছে জানা :

 অনেক সময় পরিবারের লোকজন জোর করে বিয়ের প্রস্তুতি নেয়।   তার সাথে খোলামেলা কথা বলুন।  কোথাও কোনো চাপে বিয়ে হচ্ছে কীনা তার।  চাপের মুখে করা কোনো কাজ কখনোই পুরোপুরি সফল হতে পারে না।  এর প্রভাব ভবিষ্যতে আপনার কাছে দৃশ্যমান।

 সম্ভ্রান্ত পরিবারে বিয়ে :

 আচার্য চাণক্য বিশ্বাস করতেন যে সর্বদা সেরা পরিবারের মেয়েকে বিয়ে করুন।  সে খুব সুন্দর না হলেও।  নিম্নবর্ণের সুন্দরী মেয়ের চেয়ে উন্নত পরিবারের সৌন্দর্যহীন মেয়ে অনেক ভালো।