ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ১৫ তম সিজন এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। লিগ পর্বে ৫৬টি ম্যাচ হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত শুধু গুজরাট টাইটান্সের দলই প্লে অফে উঠেছে। বাকি তিনটি স্পটে লড়াই চলছে।
মঙ্গলবার লখনউকে ৬২ রানে হারিয়ে প্লে অফের টিকিট জিতেছে গুজরাট। এই মরসুমে এখনও পর্যন্ত ১২টি ম্যাচের মধ্যে ৯টি ম্যাচ জিতেছে গুজরাট দল। ১৮ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে রয়েছে দলটি। তবে এখন নজর থাকবে হার্দিক পান্ডিয়ার দল টপ-২-এ।
মঙ্গলবার গুজরাট টাইটান্সের বিরুদ্ধে লখনউ সুপার জায়ান্টের দল খারাপভাবে হেরে যেতে পারে, তবে শীর্ষ চারে পৌঁছানো নিশ্চিত। লখনউ এই মরসুমে এখনও পর্যন্ত ১২টি ম্যাচের মধ্যে আটটি ম্যাচ জিতেছে।
গুজরাটের দল প্লে অফে পৌঁছে গেলেও, লখনউয়েরও শীর্ষ চারে পৌঁছানো নিশ্চিত। এমন পরিস্থিতিতে বাকি দুই স্পটের লড়াই চলছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর, সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ, দিল্লি ক্যাপিটালস, রাজস্থান রয়্যালস, দিল্লি ক্যাপিটালস, কলকাতা নাইট রাইডার্স, পাঞ্জাব কিংস ও চেন্নাই সুপার কিংসের মধ্যে।
রাজস্থানের কথা বললে, ১১ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট রয়েছে। এমতাবস্থায় তাকে তার বাকি তিন ম্যাচের মধ্যে দুটি ম্যাচ জিততে হবে। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের কথা বলি, তাহলে ১২ ম্যাচে এর ১৪ পয়েন্ট রয়েছে।
এমতাবস্থায় প্লে অফে উঠতে চাইলে যেকোন অবস্থাতেই তাকে বাকি দুই ম্যাচ জিততেই হবে। যদিও এই দুই দল একটি করে ম্যাচ হারলেও তারা এখনও শীর্ষ চারের রেসে থাকবে, তবে তখন তাদের নেট রান রেট এবং অন্যান্য দলের ফলাফলের উপর নির্ভর করতে হবে।
অন্যদিকে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ, দিল্লি ক্যাপিটালস, কলকাতা নাইট রাইডার্স, পাঞ্জাব কিংস এবং চেন্নাই সুপার কিংসও প্লে অফের দৌড়ে রয়েছে। তবে তাদের জন্য রাস্তা সহজ নয়। ১১-১১ ম্যাচে দিল্লি, পাঞ্জাব ও হায়দ্রাবাদের পয়েন্ট ১০-১০।
এই তিন দলকে তাদের বাকি তিন ম্যাচে জিততে হবে, যা সহজ দেখা যাচ্ছে না। অন্যদিকে, কলকাতা ও চেন্নাই যদি তাদের বাকি সব ম্যাচ জিততে পারে, তাহলে তাদের পয়েন্ট হবে ১৪-১৪। তাদের এখন নির্ভর করতে হবে অন্য দলের ফলাফলের ওপর।
No comments:
Post a Comment