1. হজমের উন্নতি
আপনার পরিপাকতন্ত্র ঠিকমতো কাজ করলে শরীরে বাড়তি মেদ জমে না এবং ওজনও কমে। তরকারি খেলে আপনার হজম প্রক্রিয়া ভালো থাকে, যাতে আপনার গ্যাস ও বদহজমের সমস্যা না হয়। এছাড়াও কারি পাতা খেলে অন্ত্রের উপকার হয়। তাই আপনার পেট সুস্থ থাকে। এই সব জিনিস ওজন কমানোর জন্য খুবই উপকারী।
2. বডি ডিটক্স
প্রাকৃতিকভাবে আপনার শরীরকে ডিটক্স করতে প্রতিদিন কারি পাতা খান। কারি পাতা চিবানো শরীরকে ডিটক্সিফাই করে। এটি শরীর থেকে ক্ষতিকারক ও বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেয়। কারি পাতা ক্যালোরি পোড়ায়। এছাড়াও এটি শরীরে চর্বি জমতে বাধা দেয়। প্রতিদিন সকালে কারি পাতার রস পান করলে আপনার এনার্জি লেভেল এবং মেটাবলিজম দুটোই বৃদ্ধি পায়।
3.ওজন কমাতে
ওজন কমাতে কারি পাতা সবচেয়ে কার্যকর। কারি পাতা ওজন কমানোর অমৃত। এটিতে অ্যালকালয়েড রয়েছে, যার স্থূলতা বিরোধী এবং লিপিড-হ্রাসকারী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটি খাওয়ার ফলে কোলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইড কম হয়, যা ওজন কমায়। এছাড়াও কারি পাতা খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। শরীরের রক্তে শর্করার মাত্রা ওজন বৃদ্ধি এবং ওজন হ্রাস উভয়কেই প্রভাবিত করে, তাই কারি পাতা খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
কিভাবে কারি পাতার জুস বানাবেন:
কারি পাতা ধুয়ে তরকারির রস তৈরি করুন। একটি পাত্রে জলে এই পাতাগুলো ফুটিয়ে নিন। কিছুক্ষণ ফুটানোর পর জল ছেঁকে পান করুন। চায়ের মতো গরম জল পান করতে পারেন। এছাড়া ঠাণ্ডা হওয়ার পর পাতা মিক্সারে পিষে এর রস খেতে পারেন। মধু ও লেবুর রস মিশিয়ে এই রস পান করুন। এই জুস খালি পেটে খেলে আরও বেশি কার্যকর।
No comments:
Post a Comment