রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে দেওয়া নোবেল পুরস্কারটি বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে রাখা হয়েছিল, কিন্তু ২০০৪ সালে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শান্তিনিকেতন থেকে ঠাকুরের নোবেল পদক চুরি হয়ে যায়। এরপর মামলাটি সিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছিল, কিন্তু সিবিআই সেই নোবেল আর খুঁজে পায়নি।
২৫ বৈশাখ, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নোবেল পুরস্কার নিয়ে টিএমসি বিধায়ক মঙ্গোবিন্দ অধিকারীর বক্তব্যের কারণে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
ভাতারের তৃণমূল বিধায়ক মনগোবিন্দ অধিকারী সোমবার এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নোবেল দিয়ে অপমান করা হয়েছিল, তাই বাংলার ছেলেরা চুরি করেছে। তৃণমূল বিধায়কের বক্তব্যের পর বাংলার রাজনীতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।
বিজেপির অভিযোগ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নোবেল চুরি করেছে টিএমসি। অতএব, বাংলা সরকার কখনই সিবিআই তদন্তে সহযোগিতা করেনি, যখন টিএমসি মুখপাত্র কুণাল ঘোষ টিএমসি বিধায়কের বিবৃতিকে তিরস্কার করে , দলকে দূরে সরিয়ে দিয়েছেন তাঁকে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাব্য রচনা গীতাঞ্জলির জন্য তিনি ১৯১৩ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন, কিন্তু পরে এই পদকটি চুরি হয়ে যায়।
তৃণমূল বিধায়ক মনগোবিন্দ অধিকারী বলেছেন, “রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নোবেল দিয়ে অপমান করা হয়েছে। তাই তো বাংলার ছেলেরা সেই নোবেল পদক চুরি করেছে। সিবিআইকে বলা হয়েছে আমাদের সব তথ্য দিতে এবং আমরা নোবেল পুরস্কার পাব। সব ক্ষেত্রেই বিজেপি সিবিআই তদন্তের দাবি করে, কিন্তু সিবিআই একটি মামলারও সঠিক তদন্ত করতে পারছে না।"
২০০৮ সালে, সিবিআই মামলার তদন্ত পুনরায় শুরু করা হলেও, ২০০৯ সালে আবারও বন্ধ হয়ে যায়।
তৃণমূল বিধায়কের মন্তব্য প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, “টিএমসি নোবেল পুরস্কার চুরি করেছে। তাই সিবিআই তদন্তে প্রথম থেকেই অসহযোগিতা করে আসছে বঙ্গ সরকার। তদন্তে কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠানকে বাধা দিচ্ছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সিবিআই যদি নোবেলকে খুঁজে না পায় তবে খুঁজে বের করবে। এর মানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানেন কে চুরি করেছে আর কে চুরি করে নিয়ে গেছে ।
No comments:
Post a Comment