বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, বাড়ির সমস্ত কিছু রাখা এবং প্রয়োগ করার জন্য কিছু নিয়ম-কানুন রয়েছে। এই বিষয়গুলো মাথায় রেখে যদি ব্যবহার করা হয় তাহলে সেগুলো শুভ ও ফলদায়ক হয়। সবকিছু সঠিক পথে রাখলে ঘরে ইতিবাচকতা আসে। একইভাবে ঘরের দেয়ালে ঘড়ির ব্যাপারেও কিছু নিয়ম বলা হয়েছে।
বাড়ির দেওয়ালে ঘড়ি শুধু সময়ই বলে না, অনেক শুভ ও অশুভ লক্ষণও দেয়। বাস্তু নিয়ম অনুযায়ী ঘড়ির কাঁটা যদি ভুলভাবে ব্যবহার করা হয়, তাহলে তা ক্ষতির কারণও হয়ে দাঁড়ায়। জীবনের উপর ঘড়ির প্রভাব রয়েছে।
বাড়িতে একটি বন্ধ ঘড়ি শুধুমাত্র নেতিবাচকতা ছড়ায়। সেই সঙ্গে ঘরও হয়ে যায় ঘড়ির কাঁটার মতো প্রাণহীন। আসুন জেনে নিই ঘড়ি সংক্রান্ত বাস্তুশাস্ত্রের নিয়ম।
বন্ধ ঘড়ি অশুভ লক্ষণ।
বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, একটি বন্ধ ঘড়ি অশুভের সূচক। যে ঘরে ঘড়ি বন্ধ থাকে সেখানে রোগ বাসা বাঁধতে শুরু করে। সেই সঙ্গে ঘরে নেতিবাচকতা বাড়ে। তাই ঘরে কখনই বন্ধ ঘড়ি রাখবেন না। ঘড়ির সাথে সম্পর্কিত কিছু বিশেষ জিনিসের যত্ন নেওয়া হলে, এমনকি আপনার খারাপ সময়ও ভালোতে পরিণত হতে পারে।
দক্ষিণ দিকে ঘড়ি রাখবেন না।
বাস্তু অনুসারে বাড়ির দক্ষিণ দিক হল স্থবিরতার দিক। এই দিকে ঘড়ি রাখলে আপনার অগ্রগতির সম্ভাবনা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এর সাথে এটাও বিশ্বাস করা হয় যে এই দিকে ঘড়ি লাগালে গৃহকর্তার স্বাস্থ্যের অবনতি শুরু হয়।
এছাড়া বাড়াবাড়িও বাড়তে থাকে। এর ফলে ঘরে সমস্যা বাড়তে থাকে এবং নেতিবাচক পরিবেশ তৈরি হয়। বাড়ির দক্ষিণ দিককে যমের দিক বলা হয়, তাই এই কোণে ঘড়ি রাখলে পরিবারের সদস্যদের উন্নতি বন্ধ হয়ে যায়।
দরজায় ঘড়ি লাগাবেন না।
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে কোনও ব্যক্তি যদি বাড়ির দরজায় ঘড়ি রাখেন, তাহলে তার মানসিক চাপ বাড়তে পারে। এ কারণে তাকে নানা ধরনের রোগের সম্মুখীন হতে হতে পারে। সেইসঙ্গে, বাস্তু অনুসারে, এমন জায়গায় ঘড়ি রাখা এড়িয়ে চলুন যাতে প্রবেশের সাথে সাথেই মানুষের চোখ পড়ে যায় ঘড়ির দিকে। এটাকে অশুভ মনে করা হয়।
No comments:
Post a Comment