এদিন হনুমান জন্মোৎসব সারা দেশে ধুমধাম করে পালিত হচ্ছে, তবে গত কয়েকদিনে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে হিন্দু-মুসলিমদের মধ্যে সংঘর্ষের পরিপ্রেক্ষিতে সর্বত্র বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
যেকোনও অপ্রীতিকর ঘটনা মোকাবেলায় স্থানীয় সরকার ও প্রশাসন বিশেষ প্রস্তুতি নিয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে যেখানে দাঙ্গা হয়েছে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়া শোভাযাত্রার বিষয়ে কিছু নিয়ম-কানুনও নির্ধারণ করা হয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে দেশে হিন্দু-মুসলমানদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। প্রথমে মুম্বাইতে, এমএনএস প্রধান রাজ ঠাকরে মসজিদ থেকে লাউডস্পিকার অপসারণের দাবি করেছিলেন, তারপরে কর্ণাটকে মন্দিরের চারপাশ থেকে মুসলিম দোকানদারদের অপসারণ এবং মুসলমানদের বয়কটের মতো ঘটনাগুলি সামনে এসেছিল।
এতে উভয় ধর্মের মানুষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যেও উভয় সম্প্রদায়ের লোকজন একাধিকবার মুখোমুখি হয়েছেন। সেটা রাজস্থানের করৌলি, ব্যাঙ্গালোর বা মধ্যপ্রদেশের খারগোনের কথাই হোক না কেন। সর্বত্র পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনকে বেশ চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়েছে।
মহারাষ্ট্রে লাউডস্পিকার নিয়ে শুরু হওয়া বিতর্ক ধীরে ধীরে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ছে। এ নিয়ে দেশজুড়ে বিতর্ক চলছে। আলিগড়েও লাউডস্পিকারে হনুমান চালিসা পাঠ শুরু হয়েছে।
রাম নবমী মিছিলের সময় সংঘর্ষের কারণে রাজ্য সরকার সতর্ক রয়েছে, ভোপালে একটি উচ্চ সতর্কতা জারি করেছে। এখানে হনুমান জন্মোৎসবে শোভাযাত্রা নিয়ে বিশেষ শর্ত বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
এসব শর্ত অনুযায়ী প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া কোনো কমিটি মিছিল করতে পারবে না। একই সঙ্গে পুলিশের ১৬টি শর্ত মানতে হবে মিছিলের আয়োজকদের।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এদিন সকাল ১১টায় গুজরাটের মরবিতে ভগবান হনুমানের ১০৮ ফুট মূর্তি উন্মোচন করবেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, হনুমানজীর চারধাম প্রকল্পের আওতায় সারা দেশে চার দিকে চারটি মূর্তির মধ্যে এই মূর্তিটি দ্বিতীয়।
এটি মোরবিতে বাপু কেশবানন্দের আশ্রমে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এটি দেশের পশ্চিম দিকে স্থাপিত একটি মূর্তি। সিরিজের প্রথম মূর্তি ২০১০ সালে সিমলায় স্থাপন করা হয়েছিল।
No comments:
Post a Comment