অনেক খাবার ঐতিহ্যগতভাবে ঋতুস্রাবের সময় স্পর্শ করা বা খাওয়া নিষিদ্ধ এবং এরকম একটি খাবার হল দই। এটা বিশ্বাস করা হয় যে পিরিয়ডের সময় দই খেলে রক্ত চলাচল বাড়ে এবং অস্বস্তি হতে পারে। কিন্তু এটা কি সত্যি? এটি সম্পর্কে আপনার জানা দরকার।
আমি কি পিরিয়ডের সময় দই খেতে পারি? হ্যাঁ, পিরিয়ডের সময় দই খেলে কোনো সমস্যা হয় না। ফরিদাবাদের এশিয়ান ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেসের লিড ডায়েটিশিয়ান বিভা বাজপাই বলেছেন “ক্যালসিয়ামের একটি ভালো উৎস হিসেবে দই আমাদের হাড় ও শরীরকে পর্যাপ্ত শক্তি দিতে সাহায্য করে। এছাড়াও দইতে উপস্থিত প্রোবায়োটিক বৈশিষ্ট্যগুলি প্রদাহ এবং অন্যান্য রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে। এটি হজমের সমস্যা কমাতে কাজ করে। পিরিয়ডের সময় দই খাওয়া উদ্বেগ ও বিষণ্নতা কমানোর পাশাপাশি পেশীর ব্যথা এবং ক্র্যাম্প কমাতে সাহায্য করে।
ফোলাভাব ও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমায়
পিরিয়ডের সময় টক খাবার এবং দই এড়িয়ে চলা একটি পুরানো বিশ্বাস যা একটি মিথ মাত্র। এটা কোন ভাবেই আপনার সমস্যা যোগ করে না। প্রকৃতপক্ষে দই স্বাস্থ্যকর অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়া প্রচারে সাহায্য করে বলে বিশ্বাস করা হয়। যার ফলে ফোলা বা কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়ার সম্ভাবনা হ্রাস পায়, যা বেশিরভাগ মহিলারা তাদের পিরিয়ডের সময় অনুভব করেন।
একই ভাবে দই খান
পিরিয়ডের সময় দই খাওয়ার অন্যতম সেরা উপায় হল বাটারমিল্ক বা লস্যি। কারণ এটি আমাদের শরীরকে হাইড্রেট করতে সাহায্য করে এবং হারানো পুষ্টিগুলি পূরণ করে।
দই কেন রাতে বা সন্ধ্যায় খাওয়া উচিত নয়?
দই প্রোটিন এবং ক্যালসিয়ামের একটি সমৃদ্ধ উৎস হওয়ায় আমাদের হাড়, দাঁত এবং শরীরের অন্যান্য কাজের জন্য ভাল। এর প্রোবায়োটিক বৈশিষ্ট্য হজমেও সাহায্য করে। বিভা বাজপাই বলেছেন "যদিও এই সুপারফুডটি দিনের যে কোনও সময় খাওয়া যেতে পারে, তবে নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে আপনার রাতে বা সন্ধ্যায় দই খাওয়া এড়ানো উচিত।"
* যাদের সর্দি-কাশি আছে বা যাদের হাঁপানির সমস্যা আছে, তাদের রাতে দই খাওয়া উচিত নয়।
*আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা গ্রহণের সময় দই খাওয়া এড়িয়ে চলুন কারণ এটি আয়ুর্বেদিক ওষুধের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে এবং এর ফলে ওষুধের শোষণ কমে যায়।
* সাধারণ মানুষ কোনো অভিযোগ ছাড়াই রাতে দইয়ের মধ্যে মেথি, কালো মরিচ ইত্যাদি খেতে পারেন।
পিরিয়ডের সময় কোন খাবার এড়িয়ে চলা উচিত?আপনার পিরিয়ডের ক্ষেত্রে আপনার ডায়েট একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং তাই পিরিয়ডের সময় কী খেতে হবে এবং কী খাবার এড়িয়ে চলতে হবে তা জানা গুরুত্বপূর্ণ।
* অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার থেকে দূরে থাকুন।
* অতিরিক্ত নোনতা খাবার এড়িয়ে চলুন।
*কফি খাওয়া এড়িয়ে চলুন।
* প্রক্রিয়াজাত এবং চর্বিযুক্ত খাবারের ব্যবহার সীমিত করা উচিত।
*মনে রাখবেন অ্যালকোহল খাবেন না।
No comments:
Post a Comment