ঠান্ডায় দিনে এক বাটি দই খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। দইয়ে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন বি৬ এবং ভিটামিন বি-১২ এর মতো প্রয়োজনীয় উপাদান রয়েছে। এটি খেলে অন্ত্রও সুস্থ থাকে। তাহলে জেনে নেওয়া যাক কেন ঠান্ডার মধ্যেও এক বাটি দই খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে এবং কী কী উপকারিতা রয়েছে।
ভ্যাজাইনাল ইনফেকশন প্রতিরোধ করে- বিভিন্ন কারণে মেয়েদের এই সমস্যা হয়। গাছ লাগানো, পাবলিক টয়লেট সিট ব্যবহার করা ইত্যাদি এমন পরিস্থিতিতে দই খাওয়া খামিরের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। দইয়ে রয়েছে ল্যাকটোব্যাসিলাস ব্যাকটেরিয়া, যা যোনিপথে সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করে। দই খেলে এই সমস্যায় অনেকটাই আরাম পাবেন।
হজমশক্তি ঠিক রাখে- ঠান্ডা ঋতুতে হজম হওয়া সবচেয়ে বড় সমস্যা। জল কম পান করলে হজমও ঠিকমতো হয় না এবং বদহজমের সমস্যা হয়। তাই দুপুরের খাবারে এক বাটি দই নিন। এতে আপনার পেট সুস্থ থাকবে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হলে সর্দি-কাশি, জ্বর দ্রুত হয়। অনাক্রম্যতা শক্তিশালী হলে আপনি দ্রুত সংক্রমণকে পরাস্ত করতে পারেন এবং এটি পুনরুদ্ধার করতে বেশি সময় নেয় না। তাই আপনার ডায়েটে অবশ্যই এক বাটি দই খান।
হাড় মজবুত করে- দই খেলে হাড় মজবুত হয়। আসলে এতে রয়েছে ক্যালসিয়াম যা হাড়কে মজবুত করে। আপনি যদি তাজা দই খান তবে এটি আপনার স্বাস্থ্যের ক্ষতি করবে না। বাতের সমস্যাও ঠান্ডার দিনে বেশি হয়, তাই অবশ্যই এক বাটি দই খান।
হার্ট ফিট রাখুন- হার্টকে শক্তিশালী করতে দই খাওয়া উচিত। বিশ্বের প্রায় ৬০ শতাংশ মানুষ হৃদরোগের কারণে প্রাণ হারায়। একই সময়ে কোভিডের পরে তরুণদের মধ্যেও হার্টের ঝুঁকি বেড়েছে। এটি খেলে কোলেস্টেরল স্বাভাবিক থাকে, উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় আরাম পাওয়া যায়।
No comments:
Post a Comment