১. মুড়ি খাওয়া শরীরে শক্তি জোগাতে সহায়ক হতে পারে। আসলে মুড়িতে উচ্চ পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট থাকে, যা শরীরের শক্তির চাহিদার ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ পূরণ করতে পারে। ব্যাখ্যা করা যায় যে শরীর কার্বোহাইড্রেটকে গ্লুকোজে রূপান্তর করে যা শক্তির প্রধান উৎস। এর ভিত্তিতে এটি অনুমান করা যেতে পারে যে মুড়ি খাওয়া শরীরের শক্তি বৃদ্ধিতে উপকারী প্রমাণিত হতে পারে।
২. কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে মুড়ির ঘোল খাওয়া হজমশক্তির উন্নতি ঘটাতে পারে। প্রকৃতপক্ষে এগুলিতে প্রচুর পরিমাণে ডায়েটারি ফাইবার রয়েছে যার কারণে এটির ব্যবহার হজম প্রক্রিয়াকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করতে পারে। আসুন আমরা আপনাকে বলি যে ডায়েটারি ফাইবার আপনাকে পূর্ণ বোধ করতে পারে। এছাড়াও এটি কোষ্ঠকাঠিন্য এবং স্থূলতার সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে। এই কারণেই কোষ্ঠকাঠিন্য উপশমের জন্য মুড়ি খাওয়া উপকারী প্রমাণিত হতে পারে।
৩. শক্তিশালী বজায় রাখা: হাড় মজবুত করতে মুড়ি উপকারী হতে পারে। একটি গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে যে মুড়িতে ক্যালসিয়াম এবং পটাসিয়ামের মতো পুষ্টি উপাদান পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকে। এতে পাওয়া এই পুষ্টি উপাদানগুলো হাড়কে সুস্থ ও মজবুত রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। এই ভিত্তিতে মুড়ি খাওয়া হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হতে পারে।
৪. প্রতিরোধ: মুড়ি ব্যবহার কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে কিছুটা হলেও সহায়ক হতে পারে। প্রকৃতপক্ষে একটি সমীক্ষা অনুসারে মুড়িতে খাদ্যতালিকাগত ফাইবার এবং স্টার্চ রয়েছে যা বড় অন্ত্রে শর্ট-চেইন ফ্যাটি অ্যাসিডকে উন্নত করতে পারে। এটি অন্ত্রে উপস্থিত ভাল ব্যাকটেরিয়াগুলির জন্য জ্বালানী হিসাবে কাজ করতে পারে যা কোলন ক্যান্সার এবং অন্ত্রের রোগ থেকে রক্ষা করতে পারে। যদিও মুড়ি ক্যান্সারের চিকিৎসা নয়।
৫. মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য: বর্তমান কার্বোহাইড্রেট গ্লুকোজ পরিবর্তন করছে। কারণ একভাবে মস্তিষ্কের কার্যকারিতার জন্য গ্লুকোজ প্রয়োজন। এই কারণে মুড়ি খাওয়া আপনার মস্তিষ্কের জন্য উপকারী হতে পারে।
No comments:
Post a Comment