প্রাইমার:
মেকআপের ক্ষেত্রে, প্রথম মেকআপ পণ্যটি আপনার ব্যবহার করা উচিত একটি প্রাইমার। বেশিরভাগ মহিলারা প্রাইমার এড়িয়ে যান, কিন্তু সত্যিই উচিত নয়। প্রাইমার ফাউন্ডেশন সহ মুখের মেকআপের জন্য একটি মসৃণ ভিত্তি তৈরি করে। শুধু তাই নয়, এটি সূক্ষ্ম রেখার দৃশ্যমানতা হ্রাস করে এবং বিবর্ণতা সংশোধন করে। আপনি যদি দীর্ঘ সময় ধরে মেকআপ করেন তবে আপনাকে অবশ্যই প্রাইমার ব্যবহার করতে হবে। এটি আপনার মেকআপকে দীর্ঘস্থায়ী করতে সাহায্য করে। মেকআপের শুরুতে প্রথমে মুখ ধুয়ে ময়েশ্চারাইজার লাগান। এরপর ফাউন্ডেশন লাগানোর আগে প্রাইমার ব্যবহার করুন।
কনসিলার:
আপনার ত্বকে যদি ডার্ক সার্কেল থেকে দাগ থাকে, তাহলে প্রাইমার এবং ফাউন্ডেশনের পরে অবশ্যই কনসিলার লাগান। এটি আপনার ত্বককে প্রাকৃতিকভাবে সুন্দর এবং দাগমুক্ত করতে সাহায্য করে। কনসিলারের প্রধান কাজ হল আপনার ত্বকের সমস্ত সমস্যা লুকিয়ে রাখা। কনসিলার লাগানোর জন্য আপনি আপনার আঙ্গুল বা কনসিলার ব্রাশ ব্যবহার করতে পারেন। কন্সিলার দাগ ঢাকতে এবং চোখের নিচের বৃত্ত ঢেকে রাখতে ব্যবহার করা হয়, পুরো মুখে নয়।
ফাউন্ডেশন:
প্রাইমারের পরে, এটি ফাউন্ডেশন প্রয়োগ করার সময়। এটি আপনার মেকআপের ভিত্তি হিসাবে কাজ করে। কিছু মহিলা প্রথমে ফাউন্ডেশন বা কনসিলার লাগাবেন কিনা বুঝতে পারেন না। ফাউন্ডেশন প্রথমে প্রয়োগ করতে হবে। ফাউন্ডেশনের সাহায্যে আপনি আপনার মেকআপকে ম্যাট, শিশির বা ন্যাচারাল লুক দিতে পারেন। সাধারণত বাজারে তিন ধরনের ফাউন্ডেশন পাওয়া যায়- তরল, ক্রিম এবং পাউডার। আপনি যদি মেকআপে নতুন হয়ে থাকেন তবে লিকুইড ফাউন্ডেশন বেছে নিন, কারণ ব্রাশের সাহায্যে এগুলো খুব সহজে লাগানো যায়। একই সময়ে, আপনি যদি ক্রিম-ভিত্তিক ফাউন্ডেশন প্রয়োগ করেন, তবে এটি একটি স্যাঁতসেঁতে স্পঞ্জের সাহায্যে ব্লেন্ড করে প্রয়োগ করুন। এছাড়াও, ফাউন্ডেশন লাগানোর সময় সঠিক শেড নির্বাচন করাও খুব গুরুত্বপূর্ণ।
এই বিষয়গুলো মাথায় রাখুন:
যেকোনো মেকআপ পণ্য বেছে নেওয়ার আগে আপনার ত্বকের ধরন, ত্বকের স্বর এবং আবহাওয়ার দিকে বিশেষ যত্ন নিন।
আপনি যখন প্রাইমার, ফাউন্ডেশন এবং কনসিলার লাগান, তখন এটি সঠিকভাবে ব্লেন্ড করা উচিত যাতে আপনার মেকআপ কেজি না লাগে। একই সময়ে, অতিরিক্ত মিশ্রণ এড়িয়ে চলুন।
মেকআপ করার সময় খুব বেশি মেকআপ পণ্য প্রয়োগ করবেন না, কারণ এটি মিশ্রণে আপনাকে আরও সময় এবং শ্রম নষ্ট করতে হবে।
No comments:
Post a Comment