দীর্ঘকাল একসাথে বসবাস করা দম্পতিরা দীর্ঘ সময়ের পরে সম্পর্কের ক্ষেত্রে একই উৎসাহ বোধ করে না। বিশেষত মিলনের সম্পর্কে প্যাশন খুব কমে যায়। মনোবিজ্ঞানীরা এর পিছনে কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছেন। শত শত লোকের উপর পরিচালিত একটি গবেষণায় দম্পতিদের জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে তারা কেন অনুভব করে যে তাদের রোম্যান্সটি শীর্ষে নেই এবং ভাল যৌন জীবন না পাওয়ার পিছনে কী কারণ রয়েছে !
এই গবেষণাটি ইভোলিউশনারি সাইকোলজি জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবীদের এই গবেষণায় বিভিন্ন ধরণের প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল। এর মধ্যে মনোবিজ্ঞানীরা মোট ৮ টি কারণ জানতে পেরেছিলেন যা দম্পতিদের মিলনের উত্তেজনা হ্রাস করে। এর মধ্যে প্রথমটির কারণ হ'ল উৎসাহ নির্মূল।
দ্বিতীয় বৃহত্তম কারণটি ছিল সময়ের অভাব। এগুলি ছাড়াও অনেকে অভিযোগ করেছিলেন যে তাদের সঙ্গী সর্বদা তাদের উপর নজর রাখার চেষ্টা করে, যার কারণে তারা এক ধরনের চাপ অনুভব করে।
এই তালিকার দশম স্থানে, মিলনের সময় প্রাক্তন নিখোঁজ হওয়া এবং সঙ্গীর সাথে উদাস হওয়ার ভয় পাওয়ার কারণগুলি ছিল। সমীক্ষায় দেখা গেছে, কিছু লোক সঙ্গীর সাথে থাকা বন্ধুবান্ধব এবং আত্মীয়স্বজনদের সাথে সর্বদা বিরক্ত থাকতে দেখা গেছে। সঙ্গীর পানাহার এবং অভ্যাসগুলিও মিলনের জীবনকে নষ্ট করার কারণ হিসাবে বলা হয়েছে।
গবেষণায় মনোবিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছেন যে গবেষণায় জিজ্ঞাসা করা প্রশ্নগুলিতে পুরুষ ও মহিলাদের একই রকম প্রতিক্রিয়া ছিল, যদিও বেশিরভাগ পুরুষ স্বীকার করেছেন যে তারা তাদের সম্পর্ক বজায় রাখতে বা অংশীদারের প্রতি অনুগত থাকতে ব্যর্থ হয়েছেন। একই সাথে, পুরুষদের তুলনায় বেশি মহিলা আরও বলেছিলেন যে দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করা খারাপ যৌনজীবনের কারণ।
যে লোকেরা দীর্ঘদিন ধরে কাজের কারণ বলেছিলেন, তাদের মধ্যে সঙ্গীর সাথে মিলন সম্পর্কে সমন্বয়ের অভাব বা মতবিরোধের মতো বিষয়গুলি আরও বেশি প্রকাশ পেয়েছিল। এর বাইরে মিলনের আকাঙ্ক্ষার অবসানের কারণে সঙ্গীর চরিত্র এবং তার খারাপ আচরণের মতো কারণগুলিও প্রকাশিত হয়েছে।
এই গবেষণার সবচেয়ে অবাক করা বিষয়টি বেরিয়ে এসেছিল যে প্রতারণার কারণে মিলন না করার কারণটি পরে পাওয়া গেছে। অর্থাৎ, গবেষণায় দেখা গেছে, তাদের সঙ্গীর সাথে প্রতারণার কারণে দম্পতিরা মিলন বন্ধ করেছিলেন।
সাইপ্রাসের নিকোসিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এই গবেষণাটি করেছেন। গবেষণার প্রধান লেখক প্রফেসর মেনেলোস এপোস্টোলো দ্য মেলকে বলেছিলেন, 'সম্পর্কের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা থাকা জরুরী, যদিও অনেকে তা করা খুব কঠিন বলে মনে করেন। ঘনিষ্ঠতার অভাবে অনেকে আবেগে ব্যথা অনুভব করেন।
No comments:
Post a Comment