শীতের দুপুরের রোদটা গায়ে মাখতে ভালো লাগে না, এমন কেউ আছেন নাকি? তবে সূর্যালোকের উপস্থিতিতে মস্তিষ্ক সেরোটনিন হরমোনের ক্ষরণ বাড়ায়। তার প্রভাবেই মুড ভালো হয়, শান্ত লাগে ভিতর থেকে। সূর্যালোক ভালো রাখে হাড়ের স্বাস্থ্য, কারণ রোদের প্রভাবে ভিটামিন ডি তৈরি করে আমাদের শরীর। কেবল খাবার থেকে কিন্তু সবটুকু ভিটামিন ডি পাওয়া সম্ভব নয়, তাই দিনের মধ্যে খানিকটা সময় খোলা আলো-হাওয়ায় কাটানো উচিৎ।
জানেন তো, ভিটামিন ডি-র প্রভাবে ক্রমশ শক্তিশালী হয়ে ওঠে আপনার রোগ প্রতিরোধক্ষমতাও? তা ছাড়া সূর্যালোকের প্রভাবে আপনার শরীরের সারকাডিয়ান রিদম নিয়ন্ত্রিত হয়। ফলে সকালে উঠতে যেমন অসুবিধে হয় না, তেমনই রাতে একটা নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমও আসে সহজে।
তবে হ্যাঁ, সেই সঙ্গে কয়েকটি বিষয়ে বিশেষভাবে যত্নশীলও হতে হবে, তা না হলে ত্বকের স্বাস্থ্যে তার প্রভাব পড়তে পারে। সূর্যের আলো খন খুব চড়া, সে সময়ে রোদে না বেরনোই ভালো। সকাল ৮টার আগে আর বিকেল ৩টের পর রোদে যাওয়া উচিত। টানা ২০- বেশি রোদে না দাঁড়ানোই ভালো। যখনই মনে হবে ত্বক চিড়বিড় করছে বা ঘাম হচ্ছে, তখনই ছায়ায় চলে যেতে হবে।
যাঁরা আউটডোর এক্সারসাইজ় করেন, তাঁদের শরীরে সূর্যালোক এমনিতেই প্রবেশ করে – সেক্ষেত্রে আলাদা করে রোদে দাঁড়ানোটা প্রয়োজনহীন। শীতের দিনে ঘরের বাইরে বসে খাওয়াদাওয়া করতে পারেন। রোদ্দুরে হাঁটলেও উপকার পাবেন। তবে ২০ মিনিটের বেশি রোদ লাগার সম্ভাবনা থাকলে এসপিএফ ৩০ যুক্ত ক্রিম লাগিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় সাধারণত।
সেই সঙ্গে ভুলবেন না টোম্যাটো খেতে। টোম্যাটোতে প্রচুর পরিমাণে লাইকোপিন থাকে, তা আপনাকে আলট্রা ভায়োলেট রশ্মির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে বাঁচায়। সেই সঙ্গে যথেষ্ট পরিমাণে জলও খাওয়া উচিত রোদে যাওয়ারআগে ও পরে। আর অতি অবশ্যই গায়ে রোদ লাগানোর সময় সুতির পোশাক পরুন। তাতে কোনও অস্বস্তি হবে না।
No comments:
Post a Comment