আম ফলের রাজা, আমের মৌসুমে আম খেতে সবাই পছন্দ করে। তবে এই ফলের জন্য যত বেশি পছন্দ করা হয়, এই ফলের পাতা তত বেশি উপকারী। সাধারণ স্বাস্থ্যের জন্যও এটি খুবই উপকারী। এদের পাতাও খুব উপকারী। যেগুলো অনেক রোগের চিকিৎসায়ও ব্যবহৃত হয়। বিভিন্ন ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানে আমের পাতা ব্যবহার করা হয়। কিন্তু সব ধরনের পুষ্টিগুণে ভরপুর এগুলো অনেক রোগের চিকিৎসায় উপকারী।
আমের পাতায় ম্যাজিফেরিন, গ্যালিন অ্যাসিড এবং পলিফেনলের মতো প্রচুর উপাদান থাকে। আম পাতার ব্যবহার ডায়াবেটিস, হাঁপানির পাশাপাশি আরও অনেক রোগে খুবই উপকারী। আমের পাতায় প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। আমের পাতা জ্বালাপোড়া বা আঘাত কমাতে খুবই সহায়ক। আমের পাতায় রয়েছে অ্যান্থোসায়ানিডিন নামক ট্যানিন এবং ভিটামিন এ, বি এবং সি সমৃদ্ধ। আম পাতা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও উপকারী। আয়ুর্বেদে আমের পাতা ব্যবহার করা হয়। আসুন জেনে নিই আম পাতা স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপকারী।
জেনে নিন আম পাতার উপকারিতা
শ্বাসকষ্ট-
আমের পাতা সব ধরনের শ্বাসকষ্টের চিকিৎসায় সহায়ক। বিশেষ করে, যদি কোনও ব্যক্তি সর্দি, ব্রঙ্কাইটিস এবং হাঁপানিতে ভুগছেন তবে তাকে অবশ্যই এটি খাওয়া উচিত। এর সেবনের জন্য, কিছু মধু দিয়ে জলে আম পাতা সিদ্ধ করে একটি ক্বাথ তৈরি করুন। এই ক্বাথ খেলে কাশি সেরে যায়। এটি ভয়েসের ক্ষতি সংশোধন করতেও সাহায্য করে।
চুল ও ত্বকের জন্য উপকারী
আমের পাতায় অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণ রয়েছে যা সংক্রমণ কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও, এটি পোড়া এবং ক্ষত নিরাময়ে সাহায্য করে। এটি বার্ধক্যের লক্ষণ কমাতে সাহায্য করে। এটি ত্বকে কোলাজেন বাড়াতেও কাজ করে, যা বলিরেখা দূর করে এবং স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখে। এর পাতা চুলের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে। এতে রয়েছে ভিটামিন সি এবং এ যা চুল পড়া কমায় এবং চুলের পুনঃ বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। আম পাতার পেস্ট বানিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। এতে আপনার চুল ঘন ও চকচকে দেখাবে।
চিনি নিয়ন্ত্রণ করে
যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের জন্য স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর জন্য আমের পাতা ব্যবহার করা যেতে পারে। আমের পাতায় অ্যান্থোসায়ানিডিন নামক ট্যানিন থাকে। চিনি নিরাময়ে আম পাতা উপকারী। এর জন্য পাতা শুকিয়ে গুঁড়া বানিয়ে নিয়মিত সেবন করুন।
কিডনি পাথর-
কিডনিতে পাথরের সমস্যা খুবই যন্ত্রণাদায়ক। আমের পাতা দিয়ে কিডনির পাথর দূর করা যায়। এ জন্য পাতার তৈরি গুঁড়া প্রতিদিন জলের সঙ্গে খেলে আরাম পাওয়া যায়।
সংক্রমণে-
আমের তাজা নরম পাতা ভেঙে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খেলেও টিউমার থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এ ছাড়া আম পাতায় অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণও পাওয়া যায়। এটি আমাদের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে।
No comments:
Post a Comment