নিউজ ডেস্ক : অনেক খাবারে স্বাদ এবং সুগন্ধের জন্য কারি পাতা ব্যবহৃত হয়। খাবারের স্বাদ বাড়ানোর জন্য এই কারি পাতা বহু বছর ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। তবে কারি পাতা শুধু রান্নাতেই নয়, চুল এবং ত্বকের যত্নেও ব্যবহৃত হয়।
চুলের বৃদ্ধি এবং খুশকির জন্য:-
খুশকি একটি খুব সাধারণ চুলের সমস্যা। দীর্ঘদিন ধরে থাকলে খুশকি মোকাবেলা করা বেশ কঠিন হতে পারে। খুশকি নিরাময়েও কারি পাতা ব্যবহার করা যেতে পারে।
পদ্ধতি :-
খুশকি থেকে মুক্তি পেতে কারি পাতা দুধের সাথে মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে, ১৫-২০ মিনিট চুলে লাগিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে। এটা লাগালে আমাদের চুল খুশকি থেকে মুক্ত থাকবে। প্রতি একদিন অন্তর ব্যবহার করতে হবে।
কারিপাতা চুলের তেল:-
কারি পাতা ক্ষতিগ্রস্ত চুলের জন্য একটি প্রাকৃতিক প্রতিকার। এটি অকালে চুল পেকে যাওয়া রোধ করতে সাহায্য করে। এটি চুলের শিকড়কে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে।
পদ্ধতি :-
নারকেল বা সর্ষের তেল গরম করে, এতে শুকনো এবং পরিষ্কার কারিপাতা দিতে হবে। শীঘ্রই পাতার রঙ পরিবর্তন হবে। এখন এই তেল ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত।
ফুসকুড়ির দাগের জন্য:-
ফুসকুড়ি সাধারণত মুখে দাগ সৃষ্টি করে। কারি পাতা ফুসকুড়ির দাগ দূর করতেও ব্যবহার করা হয়।
পদ্ধতি :-
কারিপাতা ধুয়ে এবং পিষে একটি পেস্ট তৈরি করে। এতে কিছুটা লেবুর রস মিশিয়ে ঐ দাগে লাগাতে হবে । ১৫ মিনিট লাগিয়ে ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
প্রতি তিন থেকে চার দিন অন্তর প্রয়োগ করুন।
উজ্জ্বল ত্বকের জন্য ফেস মাস্ক হিসেবেও ব্যবহার:-
কারিপাতা রোদে শুকিয়ে, সেগুলি ভালো করে পিষে, এবার একটি পাত্রে মুলতানি মাটি এবং গোলাপ জল মিশিয়ে, এতে কয়েক ফোঁটা অপরিহার্য তেল মিশিয়ে নিতে হবে। এবার এই পেস্ট মুখে ২০ মিনিট লাগিয়ে রেখে এবার ঠান্ডা জল দিয়ে মুখ ধুয়ে নিতে হবে।
No comments:
Post a Comment