নিউজ ডেস্ক: সকল বিপ্লবীর প্রতিমূর্তি শহীদ আজম ভগৎ সিং অবিভক্ত ভারতের মানুষ ছিলেন। তিনি ভারতের স্বাধীনতা লাভের জন্য ২৩ বছর বয়সে ফাঁসিতে প্রানদান করে দেশের মানুষকে দেশপ্রেমের পাঠ শিখিয়ে গিয়েছিলেন। তবে খুব কম মানুষই আছেন যারা তার শেষ মুহূর্ত সম্পর্কে জানেন। যখন ভগৎ সিংয়ের ফাঁসি হওয়ার কথা হয়, তখন সবাই জানতে আগ্রহী যে তার মনের মধ্যে সেই মূহূর্তে কি চলছিল এবং সে কী করছিল। আমরা টুইটারে একটি থ্রেড খুঁজে পেয়েছি যা আজকে আপনাদের সঙ্গে ভাগ করতে যাচ্ছি 'লাস্ট মোমেন্টস অফ ভগৎ সিং' নামে। এতে ভগৎ সিংয়ের শেষ মুহূর্তগুলো বিস্তারিতভাবে বলা হয়েছে। বলা হয় যে ভগত সিংয়ের ফাঁসি হওয়ার ২ ঘন্টা আগে, আইনজীবী প্রাণ নাথ মেহতা তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। ভগৎ সিংয়ের সঙ্গে দেখা করার সময়, তিনি তাকে রাশিয়ান বিপ্লবী লেনিনের জীবনী দিয়েছিলেন। যার দাবি ভগৎ সিং নিজেই করেছিলেন। তিনি বইটি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই কোনসষ সময় নষ্ট না করে তিনি এটি পড়তে শুরু করলেন কারণ তিনি জানতেন যে তার আর বেশি সময় বাকি নেই। খাঁচায় বন্দী বাঘের মতো কারাগারে হাঁটার সময় তিনি এটি পড়ছিলেন। তারপর প্রাণ নাথ তাকে জিজ্ঞাসা করলেন তিনি দেশবাসীকে কোনো বার্তা দিতে চান কিনা। ভগৎ সিং এর উত্তর দিলেন - মাত্র দুটি বার্তা - "সাম্রাজ্যবাদকে কমিয়ে দাও এবং বিপ্লবকে দীর্ঘদিন বাঁচিয়ে রাখো'। এখানে উল্লেখ্য যে, শেষ মুহূর্তে ভগৎ সিং লাহোর কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী ছিলেন। সেখানকার ওয়ার্ডেন চরাত সিং তাকে শেষ মুহূর্তে ওয়াহেগুরু (ঈশ্বর) স্মরণ করতে বলেছিলেন। তখন ভগত সিং বলেছিলেন- "তোমার কি মনে হয় না যে এখন অনেক দেরি হয়ে গেছে।" কিছুক্ষণ পর কনস্টেবল আবার এসে তাদের ধরে ধরে ফাঁসির মঞ্চে নিয়ে গেল। তারপর যখন তিনি তার গলায় ফাঁস দেওয়া শুরু করলেন, তখন তিনি বললেন- "অপেক্ষা করুন, একজন বিপ্লবী আরেক বিপ্লবীর সঙ্গে কথা বলছেন"। আজ মানুষ ভগৎ সিংকে তাদের আদর্শ মনে করে কিন্তু কেউ তার নীতি বুঝতে চায় না। খুব কম লোকই আছেন যারা তার বই পড়েন - 'আমি কেন নাস্তিক'। এমনকি মানুষ এখন ওনার বামপন্থী নীতিও বুঝতে চায় না।
ভগৎ সিংয়ের প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা তখনই হবে যখন দেশের তরুণরা তাঁর দেখানো পথে চলবে এবং দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য তাদের জীবন দিতে বদ্ধপরিকর হতে পারবে।
No comments:
Post a Comment