নিউজ ডেস্ক : স্বাস্থ্যের জন্য খুব ক্ষতিকর সোডিয়ামের অভাব । একজন প্রাপ্তবয়স্কের শরীরে মধ্যে ১৩৫-১৪৮ মিলি সোডিয়াম থাকা উচিৎ। যদি এই পরিমাণ ১১৮ এর নীচে নেমে যায়, তাহলে একে হাইপোনেট্রেমিয়া বলা হয়।
এই ক্ষেতে ব্যক্তির অবিলম্বে চিকিৎসা প্রয়োজন। সোডিয়ামের কাজ পেশী এবং মস্তিষ্কের স্নায়ু নিয়ন্ত্রণ করা। সোডিয়াম শরীরে তখনই কাজ করতে সক্ষম হয় যখন ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাসিয়ামের পরিমাণও একই থাকে।এবং এর প্রধান উৎস লবণ।
সোডিয়াম শরীরে কমে যাওয়ার লক্ষণ :-
কম লবণ খাওয়ার কারণে ক্লান্তি, অলসতা, পেশী শক্ত হয়ে যাওয়া এবং খিদে কমে যাওয়া, কানে কম শোনা এবং আরো গুরুতর ক্ষেত্রে রোগী অজ্ঞান হয়ে যায়।
বৃদ্ধ বয়সে মারাত্মক:-
সোডিয়ামের ঘাটতি অনেক কারণে হতে পারে। এটি প্রায়শই বয়স্কদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপের রোগীরা ওষুধ খান। এটি শরীর থেকে সোডিয়াম বের করে দেয়। কখনও কখনও সোডিয়ামের আরো নির্গমন হ্রাস করে দিতে পারে। হাইপোড্রেনালিজম হল অ্যাড্রিনাল গ্রন্থি সঠিকভাবে কাজ না করার জটিলতা।
এছাড়া টিবি রোগের কারণে সোডিয়ামের ঘাটতিও হয়। অতিরিক্ত বমি বা ডায়রিয়ার সমস্যায় সোডিয়ামের অভাবও হতে পারে। হার্ট এবং কিডনি সংক্রান্ত রোগ ছাড়াও গরমে অতিরিক্ত ঘামও ঘাটতি সৃষ্টি করতে পারে।
রক্ত পরীক্ষা করা :-
সোডিয়াম শরীরে কতটা আছে তা, পরীক্ষা করার জন্য, সিরাম ইলেক্ট্রোলাইটের মাধ্যমে রক্ত পরীক্ষা করা হয়।
একজন ব্যক্তির মধ্যে সোডিয়ামের অভাব দুটি উপায়ে সম্পন্ন হয়। যদি রোগীর জ্ঞান থাকে, তাহলে তাকে লবণ জলে গুলিয়ে সোডিয়াম সাপ্লিমেন্ট দেওয়া হয়।
যদি সে অজ্ঞান অবস্থায় থাকে, তাহলে তাকে বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে ড্রিপের মাধ্যমে সোডিয়াম যৌগ দেওয়া হয়।
দিনে ছয় গ্রামের বেশি লবণ গ্রহণ করা ঠিক না। পর্যাপ্ত জল পান করা এবং সুষম খাদ্য গ্রহণ করা আবশ্যক।
No comments:
Post a Comment