পশ্চিমাদের উদ্দেশে তালেবানের মুখপাত্র বলেন, ‘একে অন্যের সংস্কৃতি পরিবর্তন করার চেষ্টা না করলেই হলো। আমরা যেমন আপনাদের সংস্কৃতি পরিবর্তন করার কথা বলছি না, তেমনি আপনারাও আমাদের সংস্কৃতি পরিবর্তন করার চেষ্টা করবেন না।’
অন্যদিকে, আফগানিস্তানে এক সময়ে তাদের রায়েই কারাদণ্ড হয়েছিল তালেবানদের। কিন্তু পালাবদলের প্রাণভয়ে রয়েছেন অন্তত ২৫০ নারী বিচারক।
গত কয়েক সপ্তাহে নারী বিচারকদের অনেকেই দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। কিন্তু বেশির ভাগ বিচারক সেই সুযোগ পাননি। তারা আফগানিস্তানেই রয়েছেন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম পলিটিকো এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বিশ্বের সব মানবাধিকার সংগঠন ও নারী রাষ্ট্র-সরকারপ্রধান আফগান নারীদের অধিকার সংরক্ষণ নিশ্চিত করার জন্য জোটবদ্ধ হচ্ছেন।
ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক হেনরিয়েটা ফোর ইতিমধ্যে বলেছেন, আফগানিস্তানে নারীদের অনেক কাজে তাঁরা দেখতে চান। শিক্ষকতা, স্বাস্থ্যসেবাসহ সমাজের অন্যান্য পেশায় আফগান নারীদের কাজ করার অধিকার দেওয়া হবে কি না, এ নিয়ে তাঁরা নিশ্চিত নন।
চেষ্টা করছেন যদি কোনও ভাবে তালিবানের চোখে ধুলো দিয়ে দেশ থেকে পালাতে পারেন।
২০ বছর আগে আফগানিস্তান যখন তালেবানের দখলে ছিল, মেয়েদের যাবতীয় অধিকার খর্ব করেছিল সংগঠনটি। মেয়েদের শিক্ষার অধিকার ছিল না। বাইরে কাজ করার অনুমতি ছিল না।
পুরুষ অভিভাবক ছাড়া বাড়ির বাইরে এক পা ফেলা বারণ ছিল তাদের। ছিল আরও বহু বহু নিষেধাজ্ঞা। ফলে গত মাসে তালেবান ফের ক্ষমতায় আসার পর থেকেই আতঙ্কে নারীরা।
তালেবান অবশ্য বলছে, তারা আর আগের মতো নেই। মেয়েদের অধিকার দেওয়া হবে, তবে শরিয়ত মেনে। ফলে আদৌ ঠিক কতটা ছাড় মিলবে, তা নিয়ে সন্দিহান মেয়েরা।
সাম্প্রতিক কিছু ঘটনায় ভয়েরই আভাস পাচ্ছেন তারা। হিজাব না-পরার জন্য এক নারীকে প্রকাশ্য রাস্তায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে দিন কয়েক আগে। চুরির অভিযোগে এক যুবকের মুখে কালি লেপে তাকে ট্রাকের পিছনে বেঁধে টানতে টানতে নিয়ে যাওয়া হয়।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা কর্মক্ষেত্র, পুরুষ ও মেয়েদের একসঙ্গে কাজ করায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে তালেবান।
নারী বিচারকরা বলছেন, তারা প্রবল আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। গত জানুয়ারিতে সুপ্রিম কোর্টের দুই নারী বিচারপতিকে গুলি করে খুন করেছিল তালেবান।
আফগানিস্তানের এক শীর্ষস্থানীয় নারী বিচারক ইতিমধ্যেই ইউরোপে পালিয়ে গেছেন। একটি গোপন স্থান থেকে তিনি গণমাধ্যমকে জানান, তালেবান আফগানিস্তানের সব বন্দিকে জেল থেকে ছেড়ে দিয়েছে। নারী বিচারকেরা সত্যি প্রাণসংশয়ে রয়েছেন।
রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, চার-পাঁচ জন তালেবান জঙ্গি বাড়ি গিয়ে আমার খোঁজ করছিল। জানতে চাইছিল, আমি কোথায়? এই লোকগুলোকেই আমি কারাদণ্ড দিয়েছিলাম।
মানবাধিকার কর্মী ও বিদেশি সহকর্মীদের সাহায্যে কোনও মতে আফগান ছেড়ে পালাতে সক্ষম হন এই বিচারক। ইউরোপে পালিয়ে গেলেও দেশে সহকর্মীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন তিনি।
তিনি বলেন, নারী আইনজীবীরা ভীষণ ভয়ের মধ্যে আছেন। আফগানিস্তান থেকে তাদের উদ্ধার করা না-হলে তালেবানরা মেরে ফেলব।
তিনি আরও জানান, শুধু নারী বিচারকরা নন, নারী আইনজীব ও নারী পুলিশ সবাই প্রাণভয়ে দিন কাটাচ্ছেন। জেল থেকে বেরোনো বন্দিরা সরাসরি হুমকি দিচ্ছে।
ব্রিটেনের আইনমন্ত্রী রবার্ট বাকল্যান্ড জানিয়েছেন, আফগান ৯ নারী বিচারককে উদ্ধার করে লন্ডনে আনা হয়েছে। প্রাণের ঝুঁকি রয়েছে, এ রকম আরও অনেককে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনা হচ্ছে। বাকল্যান্ড বলেন, ওই বিচারকেরা আইন ব্যবস্থা পরিচালনা করতেন। তালেবানের ক্ষমতাবৃদ্ধিতে তারা তো ভয় পাবেনই।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম পলিটিকো এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বিশ্বের সব মানবাধিকার সংগঠন ও নারী রাষ্ট্র-সরকারপ্রধান আফগান নারীদের অধিকার সংরক্ষণ নিশ্চিত করার জন্য জোটবদ্ধ হচ্ছেন।
ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক হেনরিয়েটা ফোর ইতিমধ্যে বলেছেন, আফগানিস্তানে নারীদের অনেক কাজে তাঁরা দেখতে চান। শিক্ষকতা, স্বাস্থ্যসেবাসহ সমাজের অন্যান্য পেশায় আফগান নারীদের কাজ করার অধিকার দেওয়া হবে কি না, এ নিয়ে তাঁরা নিশ্চিত নন।
চেষ্টা করছেন যদি কোনও ভাবে তালিবানের চোখে ধুলো দিয়ে দেশ থেকে পালাতে পারেন।
২০ বছর আগে আফগানিস্তান যখন তালেবানের দখলে ছিল, মেয়েদের যাবতীয় অধিকার খর্ব করেছিল সংগঠনটি। মেয়েদের শিক্ষার অধিকার ছিল না। বাইরে কাজ করার অনুমতি ছিল না।
পুরুষ অভিভাবক ছাড়া বাড়ির বাইরে এক পা ফেলা বারণ ছিল তাদের। ছিল আরও বহু বহু নিষেধাজ্ঞা। ফলে গত মাসে তালেবান ফের ক্ষমতায় আসার পর থেকেই আতঙ্কে নারীরা।
তালেবান অবশ্য বলছে, তারা আর আগের মতো নেই। মেয়েদের অধিকার দেওয়া হবে, তবে শরিয়ত মেনে। ফলে আদৌ ঠিক কতটা ছাড় মিলবে, তা নিয়ে সন্দিহান মেয়েরা।
সাম্প্রতিক কিছু ঘটনায় ভয়েরই আভাস পাচ্ছেন তারা। হিজাব না-পরার জন্য এক নারীকে প্রকাশ্য রাস্তায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে দিন কয়েক আগে। চুরির অভিযোগে এক যুবকের মুখে কালি লেপে তাকে ট্রাকের পিছনে বেঁধে টানতে টানতে নিয়ে যাওয়া হয়।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা কর্মক্ষেত্র, পুরুষ ও মেয়েদের একসঙ্গে কাজ করায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে তালেবান।
নারী বিচারকরা বলছেন, তারা প্রবল আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। গত জানুয়ারিতে সুপ্রিম কোর্টের দুই নারী বিচারপতিকে গুলি করে খুন করেছিল তালেবান।
আফগানিস্তানের এক শীর্ষস্থানীয় নারী বিচারক ইতিমধ্যেই ইউরোপে পালিয়ে গেছেন। একটি গোপন স্থান থেকে তিনি গণমাধ্যমকে জানান, তালেবান আফগানিস্তানের সব বন্দিকে জেল থেকে ছেড়ে দিয়েছে। নারী বিচারকেরা সত্যি প্রাণসংশয়ে রয়েছেন।
রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, চার-পাঁচ জন তালেবান জঙ্গি বাড়ি গিয়ে আমার খোঁজ করছিল। জানতে চাইছিল, আমি কোথায়? এই লোকগুলোকেই আমি কারাদণ্ড দিয়েছিলাম।
মানবাধিকার কর্মী ও বিদেশি সহকর্মীদের সাহায্যে কোনও মতে আফগান ছেড়ে পালাতে সক্ষম হন এই বিচারক। ইউরোপে পালিয়ে গেলেও দেশে সহকর্মীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন তিনি।
তিনি বলেন, নারী আইনজীবীরা ভীষণ ভয়ের মধ্যে আছেন। আফগানিস্তান থেকে তাদের উদ্ধার করা না-হলে তালেবানরা মেরে ফেলব।
তিনি আরও জানান, শুধু নারী বিচারকরা নন, নারী আইনজীব ও নারী পুলিশ সবাই প্রাণভয়ে দিন কাটাচ্ছেন। জেল থেকে বেরোনো বন্দিরা সরাসরি হুমকি দিচ্ছে।
ব্রিটেনের আইনমন্ত্রী রবার্ট বাকল্যান্ড জানিয়েছেন, আফগান ৯ নারী বিচারককে উদ্ধার করে লন্ডনে আনা হয়েছে। প্রাণের ঝুঁকি রয়েছে, এ রকম আরও অনেককে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনা হচ্ছে। বাকল্যান্ড বলেন, ওই বিচারকেরা আইন ব্যবস্থা পরিচালনা করতেন। তালেবানের ক্ষমতাবৃদ্ধিতে তারা তো ভয় পাবেনই।
No comments:
Post a Comment