অর্গানিক ডায়াবেটিক লাড্ডুই চমক দিল গণেশ চতুর্থী উপলক্ষে। হাওড়া জেলার সালকিয়ার এক মিষ্টির দোকানের তৈরি কম মিষ্টির এই লাড্ডুর চেটেপুটে খেতে পারবেন ডায়াবেটিক রোগীরাও। তাই গণেশ পুজোর আগে এর চাহিদা তুঙ্গে।
বেশিরভাগ সুগার রোগীদের মিষ্টি খাওয়ার প্রতি একটা আলাদা আকর্ষণ থাকে। ডাক্তারি নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দোকানে অথবা বাড়িতে তাদের লুকিয়ে মিষ্টি খেতে দেখা যায়। উৎসবের সময় হলে আর কথা নেই। এই প্রবণতা আরও বাড়ে। শুক্রবার গণেশ চতুর্থী। তাই গণেশ ঠাকুরকে লাড্ডু এবং রকমারি মিষ্টি দিয়ে পুজো দেওয়া রীতি। আর এই রীতি চলে আসছে বহুদিন ধরে। পুণ্যার্থীরাও লাড্ডুর প্রসাদ জন্য কার্যত হা-পিত্যেশ করে বসে থাকেন। সুগার রোগের জন্য অনেকে অবশ্য মিষ্টি লাড্ডু খেতে ভালবাসলেও তারা এড়িয়ে চলেন। তাদের কথা ভেবে এক অভিনব লাড্ডু তৈরি করেছেন সালকিয়া চৌরাস্তার কাছে এক মিষ্টির দোকান।
এই লাড্ডুতে যে চিনি ব্যবহার করা হয়েছে তাতে শর্করা কম। অথচ খেতেও সুস্বাদু। শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক নয় এমনটাই জানিয়েছেন তরুণ দোকান মালিক অভিজিৎ দাস। তিনি বলেন মেডিকেটেড এই লাড্ডুর নাম অর্গানিক ডায়াবেটিক লাড্ডু। এই বছরে এর চাহিদা বেশ ভালো। দাম ক্রেতাদের সাধ্যের মধ্যে।
ডায়াবেটিসের রোগী এক ক্রেতা সন্তোষ দাস বলেন মিষ্টির দোকানে এলে তার মন খারাপ হয়ে যায়। ইচ্ছে থাকলেও মিষ্টি খেতে পারেন না। তাই গণেশ পুজোর আগে এই ধরনের লাড্ডু হাতে পেয়ে খুশি। কারণ এই লাড্ডুর প্রসাদ তিনি ও বাড়ির লোকেরা স্বচ্ছন্দে খেতে পারবেন। অভিজিতবাবু বলেন এই লাড্ডুতে কোন রিক্স নেই। এই ধরনের মিষ্টি ক্রেতা ও মিষ্টির মধ্যে সম্পর্ক আরও 'মিষ্টি' করবে।
No comments:
Post a Comment