নর্দমা তৈরির কাজ করতে গেলে দিতে হবে নানা রকম সুবিধা। নইলে কাজ করতে পারবে না নির্মাণকারী সংস্থা। সরকারী কাজে এভাবেই ঢিলেমি হচ্ছিল। যা মেটাতে গিয়ে প্রকাশ্যে এলো
শাসক দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। যা দেখে উঠেছে প্রশ্ন? জনগনের জন্য কতটা ভাবেন সুবিধা নেওয়া এবং দ্বন্দ্বে মগ্ন এই রাজনীতিকরা এমন প্রশ্ন নাগরিক সমাজের।
পিডাব্লিউডি র নর্দমার তৈরির কাজে বাধা দেওয়া নিয়ে বাগদায় তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও অঞ্চল সভাপতির মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে ।
উত্তর ২৪ পরগনা বাগদা ব্লক অফিসের সামনে পিডাব্লিউডি রাস্তার পাশে নর্দমা নির্মাণের কাজ করবার বরাত পেয়েছিল ঘোষ কনস্ট্রাকশন নামে একটি সংস্থা । নির্মাণকারীরা কাজে এলে তাদের কাছে কাজের সিডিউল চেয়ে ছিলেন বাগদা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গোপা রায় । অভিযোগ সিডিউল জমা দেওয়ার সত্বেও একাধিকবার দেখা করতে বলা হয়েছে তাকে এমনকি নির্বাচনের আগে গেঞ্জি তৈরি করে দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হয়েছিল ।
সাম্প্রতিককালে কাজ শুরু করতে গেলে গোপা রায় পুলিশের ভয় দেখিয়ে বাধা সৃষ্টি করে এবং মিস্ত্রিকে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ তোলেন নির্মাণকারী সংস্থার কর্মকর্তা ।
মঙ্গলবার নর্দমার কাজ শুরু করতেই গোপা রায়ের অনুগামীরা এক জায়গায় জমায়েত করেছিল । সেই সময় কন্ট্রাকটর বাগদা আঞ্চলিক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি ও বাগদা যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতির কাছে দ্বারস্থ হলে পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছে কাজ শুরু করে ।এভাবেই পিডাব্লিউডি র নর্দমার নির্মাণ নিয়ে আবার প্রকাশ্যে এল বাগদা তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর কোন্দল ।
কন্ট্রাকটার শুভজিৎ ঘোষ অভিযোগ করেন প্রথম যখন কাজ শুরু করি বারংবার আমার কাছে কাজের সিডিউল চাওয়া হয় । আমি সিডিউল জমা দেওয়ার পরে আমার কাছে রিসিভ কপি আছে । পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বারংবার তার সঙ্গে দেখা করতে বলেন । ভোটের আগে দলের ছেলেদের ড্রেস দিতে হবে বলে দাবি করেছিলেন । প্রত্যক্ষ না হোক পরোক্ষভাবে অনেক রকম ভাবে দেখা করতে বলেছেন ।
এই বিষয়ে বাগদা আঞ্চলিক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য সনজিৎ সরদার অভিযোগ তোলেন বাগদা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গোপা রায় অর্থ চাইছেন । প্রত্যক্ষ না হোক পরোক্ষভাবে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি টাকা চেয়েছেন । আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন কে মাথায় রেখে কাজটা করতে চাইছি । এটা গোষ্ঠী কোন্দল কিনা সে প্রসঙ্গে তিনি বলেন সেটা আমি বলতে পারব না।
এই বিষয়ে বাগদা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গোপা রায় বলেন আজ পর্যন্ত আমি চেয়ারটায় যতদিন হোল্ড করেছি , এই কন্টাক্টার কেন কোন কন্ট্রাকটারের ক্ষমতা নেই যে আমি কোন অসৎ পথে কারো কাছ থেকে এক টাকা নিয়েছি বলে । টাকা চাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন প্রমাণ করে দেখাক যে আমি এক টাকা চেয়েছি । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমার মা । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নীতি কিভাবে মানতে হয় আমরা জানি । ১৯৯৮ সাল থেকে তৃণমূল কংগ্রেস করি । গোষ্ঠী কোন্দল কিনা আমি জানিনা আমি কোন অসৎ কাজকে সমর্থন করিনা । অসৎ কে কোনো সময়ে সমর্থন করবো না যদি মৃত্যু হয় হোক ।
আমি কন্ট্রাকটারকে বলেছি শিডিউল দিয়ে কাজ করুন । তাকে বারবার দেখা করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন কখনোই না ,আমি বলেছি যে সিডিউল আছে সেই সিডিউল অনুসারে কাজ করতে । শিডিউল কবে দিয়েছে সেটাও কি প্রমাণ করতে বলুন । স্বচ্ছতা নিয়ে চলছি স্বচ্ছতা নিয়ে যাব যদি মরতে হয় মরবো অসৎ পথে যাব না ।
বাগদা বিজেপির এক নম্বর মন্ডল সভাপতি সুজয় কুমার বিশ্বাস বলেন আমাদের দল তরফ থেকে স্পষ্ট বক্তব্য সিডিউল অনুসারে কাজ হোক যদি এই বিষয়ে অর্থনৈতিক লেনদেন হয় তাহলে অন্যায় । আমরা চাই কাজটা সুষ্ঠুভাবে হোক । তৃণমূলের অন্দরে একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন । তৃণমূলের একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ সব জায়গায় হয় এটা ডানপন্থী রাজনীতির একটা অঙ্গ এটা নিয়ে ভাবলে হবে না । আমরা চাই কাজটা যাতে সঠিকভাবে হয় ।
No comments:
Post a Comment